- Home
- Lifestyle
- Parenting Tips
- পুজোর পরই খুলতে পারে স্কুল, করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রস্তুত করবেন সন্তানকে, রইল টিপস
পুজোর পরই খুলতে পারে স্কুল, করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রস্তুত করবেন সন্তানকে, রইল টিপস
- FB
- TW
- Linkdin
স্কুলের মধ্যে করোনাবিধি মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সন্তানকে আগে থেকেই করোনার ব্যাপারে সচেতন করুন। চাইলে বাড়িতেই এখন থেকে তার ট্রেনিং শুরু করে দিন। স্কুলে গেলে সে কি করবে কি করবে না তাকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিন। এর ফলে দেখবেন সেও ধীরে ধীরে বিষয়টি রপ্ত করে নেবে।
বহু দিন ধরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। আর স্কুল খোলার পর সেই আনন্দ তারা অনেকেই ধরে রাখতে পারবে না। ফলে সেই সময় সামাজিক দূরত্বের কথা তাদের মাথাতেই থাকবে না। তাই বাড়িতেই কাল্পনিক ক্লাসরুম বানিয়ে নিন। আর স্কুল খোলার পর সহপাঠীদের সঙ্গে কতটা দূরত্ব রেখে তাকে কথা বলতে হবে তা বুঝিয়ে দিন। এক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের সন্তানের সহপাঠী সাজাতে পারেন।
বেশিরভাগ স্কুলেই বন্ধুদের সঙ্গে খাবার শেয়ার করে খাওয়ার বিষয়টি শেখানো হয়। আর বন্ধুদের এতদিন পর দেখে তাদের খাবার চেখে দেখার লোভ সামলাতে পারে না অনেক বাচ্চাই। সবথেকে বড় বিষয় সামনে সুস্বাদু খাবার থাকলে সবারই তা চেখে দেখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু, করোনাকালে তা একেবারেই করা যাবে না। দুপুরের খাবার, জলের বোতল সহ কোনও জিনিসই সন্তানকে ভাগ করতে বারণ করুন। এতে সংক্রমণ অনেকটাই আটকানো সম্ভব।
খাওয়ার আগে হাত ধোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে থাকার সময় বাচ্চা যদি হাত না ধুয়ে খায় তাহলে তাকে বোঝান। এই অভ্যেস তৈরি করার ফলে দেখবেন কয়েকমাস পর বাচ্চা আর হাত না ধুয়ে কখনওই খাচ্ছে না। প্রতিটা ক্ষেত্রেই তাদের ভালো-খারাপটা বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন বুঝিয়ে বললে তারা ঠিক বুঝতে পারবে।
মাস্কিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বদা মুখে মাস্ক পরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি আরামদায়ক কিন্তু ঠিকঠাক গঠনের মাস্ক সঙ্গে রাখা জরুরি। বাচ্চা যেহেতু এখন বাড়ি থেকে তেমন একটা বাইরে বের হয় না তাই সে বেশিক্ষণ মাস্ক পরে না। কিন্তু, স্কুলে গেলে বেশিরভাগ সময়ই তাকে মাস্ক পরতে হবে। প্রয়োজনে এখন থেকেই বাড়িতে তার মাস্ক পরে থাকার ট্রেনিং শুরু করে দিন। এতে তখন সমস্যা হবে না।
বাচ্চাকে খুব বেশি ভারী মাস্ক দেবেন না। এতে তাদের কানের পাশে ব্যথা হয়ে যেতে পারে। ফলে তারা খুব কম সময়ের মধ্যেই মাস্ক খুলে ফেলবে। তাই হালকা মাস্ক পরান। এতে শ্বাস নেওয়ার সময়ও কোনও সমস্যা হবে না। আর বাচ্চাও আরাম পাবে।
বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে, পরিবারের সঙ্গে বাইরে যাওয়া অথবা স্কুল বা কোচিংয়ে বাইরে যাওয়ার সময় তার ব্যাগে স্যানিটাইজার দিয়ে দিন। তাকে হাত স্যানিটাইজ করতে বলুন। কারণ বাচ্চারা খেলার সময় কোথায় হাত দিচ্ছে তা খেয়াল রাখে না। তাই কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর তাকে হাত স্যানিটাইজ করতে বলুন। এতে সংক্রমণ অনেকটাই আটকানো সম্ভব।
যখনই ১৮ বছরের নিচে করোনার টিকা পাওয়া যাবে তখনই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্লট বুক করুন। টিকার মাধ্যমে সংক্রমণ হলেও তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারবে না। এছাড়া পরিবারের বাকি সদস্যরা সবাই সন্তানের স্কুল খোলার আগেই টিকা নিয়ে নিন। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।
অনেক সময় বাচ্চার চশমা পরার ফলে তাদের মাস্ক পরতে সমস্যা হয়। ভাপ উঠে চশমার কাঁচ ঝাপসা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রের বাচ্চার স্কুল শুরু হওয়ার আগেই তাকে একটি ফগ ফ্রি চশমা করে দিন। এতে আর কোনও সমস্যা হবে না। ফলে বাচ্চার মাস্ক পরে থাকাতেও কোনও সমস্যা দেখা দেবে না। না হলেই অজুহাত দিয়ে তারা মাস্ক খুলে ফেলতে পারে।
স্কুলের মধ্যে প্রত্যেক বাচ্চারই একটা নির্দিষ্ট গ্রুপ থাকে। যে গ্রুপে বাচ্চারা অনেক বেশি মেলামেশা করে। স্কুল খোলার আগে সেই গ্রুপের সব অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলুন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে স্কুলের জন্য বাচ্চাদের প্রস্তুত করতে হবে তা সবার সঙ্গে আলোচনা করুন। সব অভিভাবককে বলুন তাঁদের সন্তানদের বিষয়টি বোঝাতে। এর ফলে একটা গ্রুপে থাকা সব বাচ্চা যদি সঠিক বিধিনিষেধ মেনে চলে তাহলে সংক্রমণের সম্ভবনা অনেকটাই কম থাকে।