প্রেম বা বিয়ে, যেকোনও সম্পর্ক বাঁচাতে ভুলেও ১২টি এই জিনিস উপেক্ষা করবেন না
- FB
- TW
- Linkdin
সম্পর্ক যতই সুন্দর হোক বা প্রেম যতই উন্মুক্ত হোক তা অনুভব করা যায়। কিন্তু সব সম্পর্কই অত্যন্ত জটিল। আপনার কাছের মানুষ, যাকে আপনি খুব ভালো করে চেনেন, জানেন, দিনরাত এক সঙ্গে থাকেন- তবুও আপনি অনেক সময়ই জানতে পারেন না তাঁর মনের মধ্যে কী চলছে। কিন্তু আপনি যদি সচেতন হন তাহলে অবশ্যই আপনার সঙ্গীর আচরণ বিশ্লেষণ করে কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারেন তাঁর মনের মধ্যে কী চলছে।
আপনি সবকিছু বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারবেন, আপনার সঙ্গী শুধুমাত্র আপনার কিনা। নাকি সে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে রাখেন। আপনাকে কতটা সম্মান করেন- সেটাই বিচার করা জরুরি। যে কোনও সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার বা এগিয়ে নিয়ে যাওর কতগুলি সূক্ষ্ম দিক রয়েছে। সেগুলি নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
প্রশংসা - প্রেম, বিয়ে বা যেকোনও মিষ্টি সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপরিহার্য একটি বিষয়। যা একটি সম্পর্ককে আরও সুন্দর আর আরও ভালো আরও মজবুত করে তোলে। কিন্তু খুব বেশি প্রশংসা বা অকারণে প্রশংসা খুবই ভয়ঙ্কর হতে পারে।
সঙ্গীর প্রশংসা সর্বদা সত্যি নাও হতে পারে। আপনাকে ব্যস্ত রাখার জন্য বা আপনার মন অন্যদিকে রাখার সঙ্গে আপনার কাছের মানুষ আপনার প্রশংসা করতে পারে। তাই সঙ্গীর সেই পাতা ফাঁদে পা দেওয়ার আগে একবার অবশ্যই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
আপনার সঙ্গী আগে একটি সম্পর্কে ছিল। বর্তমানে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে। কিন্তু প্রাক্তনের সঙ্গে অযাচিতভাবে খারাপ মন্তব্য বা নিন্দা কিন্তু আপনাদের সুস্থ সম্পর্কে শ্রেয় নয়। আপনার সঙ্গী যদি তেমন আচরণ করে থাকেন তবে আপনাকে বুঝতে হবে তাঁর মানসিক সমস্য রয়েছে।
প্রাক্তন সম্পর্কে অযাচিত খারাপ মন্তব্যের আরও একটি কারণ হতে পারে আপনার সঙ্গী আগের সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। প্রাক্তনকে সে বারবারই নিজের মনের মণিকোঠায় রেখেছে। নিজেদের সম্পর্ক ভাঙার জন্য প্রাক্তনকে দায় করা হলে আপনাকে বুধতে হবে মানসিকভাবে আগের সম্পর্ক থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারেনি। কারণ একটি সম্পর্ক তখনই ভাঙে যখন দুজনে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়।
নিজের সম্পর্কের অতীত সম্পর্কে বারবার খারাপ মন্তব্য করা পুরুষ বা মহিলা - যেই হোকনা কেন তা কখনই ঠিক নয়। আপনার সঙ্গী যদি নিজের অতীতকেই সম্মান করতে না পারে তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন সেই মানুষটি বর্তমান বা ভবিষ্যৎ কোনও সম্পর্কেই সম্মান করতে পারবে না।
প্রেম বা বিয়ের সম্পর্ক কখনই দুটি পরিবারের বাইরে হতে পারে না। পরিবার সর্বদাই বর্তমান থাকে এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে। সেখানে আপনার সঙ্গী যদি কারণে বা অকারণে আপনার পরিবারকে হেয় করে বা অসম্মান করে তাহলে বুধতে হবে তিনি আমনার সম্পর্কে ততটা শ্রদ্ধাশীল নন। কারণ আপনার পরিবারকে পছন্দ না করলে আপনাকে মন থেকে মেনে নেওয়াটাও খুব কঠিন।
।পরিবারিক অশান্তির মুখোমুখি হতে হয় যে কোনও সম্পর্ককেই। বিয়ে বা প্রেম কোনওটাই এর বাইরে যেতে পারে না। সেক্ষেত্রে আপনার সঙ্গী যদি আপনার বা নিজের পরিবারের সদস্যদের অসম্মান করে তাহলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই শ্রেয়। কারণ তিনি যদি নিজের পরিবারের সদস্যদের সম্মান না জানান তাহলে আপনাকেও কোনও দিন সম্মান জানাতে পারবেন না।
একটি সম্পর্ক সর্বদাই গোপনীয়তা চায়। সেখানে বিশ্বাস, ভালোবাসা, ভালোলাগা, সম্মান সবকিছুই প্রয়োজনী। কিন্তু আমনার সঙ্গী যদি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তবে সেই সম্পর্ক কখনই স্থায়ী হতে পারে না। সে আপনাকে সার্বজনীন করে তুলতে চায়। কখনই ব্যক্তিগত নয়।
একটি সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিগত পরিসর প্রয়োজন। সেখানে 'আমি' বা 'আমিত্ব' বজায় রাখাও জরুরি। কিন্তু আপনার সঙ্গী যদি সেই জায়গা না দেয় তাহলে সেই সম্পর্ক কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়ায়। দমবন্ধ করে দেয়।
একটি মানুষের অনেক রকম ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে। কিন্তু আপনার সঙ্গী যদি সেগুলি নিয়ে ক্রমাগত আপনাকে খোঁটা দেয় তাহলে সেই সম্পর্কে না এগিয়ে যাওয়া শ্রেয়। কারণ আপনার ভালোমন্দ সব মিলিয়েই আপনি। তাই আপনার মত করেই আপনাকে ভালোবাসা উতিৎ। এই সত্যিটা একটি প্রাচীন সত্যি।