প্রেমিক কোনও কুমতলবে গোপন ছবি চাইছে না তো? ঘনিষ্ঠ ছবি পাঠানোর আগে সতর্ক হন
বর্তমান প্রজন্মের কাছে শারীরিক মিলন খুবই সাধারণ একটি বিষয়। সম্পর্কে শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে তারা কিন্তু বোধ করেন না। অনেকের মতে, শারীরিক মিলনের পরই সেই মানুষটিকে আরও ভালো করে চেনা যায়। ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ালে নিরাপদ যৌন সম্পর্ক তৈরি করা কোনও বড় কথা নয়। জেনওয়াই এর মানসিকতা কিছুটা এমনটাই। তারা সম্পর্কে জড়ানোর পর শারীরিক মিলন নিয়ে যেমন কিছু ভাবেন না। তেমনই সে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হলেও তাদের তেমন যায় আসে না। তবে, সব কিছু কি এতটাই সহজ? হয়তো তা নয়। শারীরিক মিলন অনেকের মনে সাধারণ বিষয় হতেই পারে, কিন্তু সে সম্পর্ক লিপ্ত কয়েকটা জিনিস অবশ্যই মেন রাখা উচিত।

বর্তমানে সকলেই হাতেই রয়েছে দামি স্মার্ট ফোন। আর সেই ফোনের ক্যামেরায় আমরা কারণে অকারণে নানা ছবি তুলে থাকি। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার সময়ও অনেকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তোলেন। আবার সে ছবি একে অন্যের ফোন পাঠানও। কিন্তু, কখনও ভেবে দেখেছেন এটা আদৌ নিরাপদ কিনা।
বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস কিংবা প্রেমে প্রতারিক হয়ে আত্মহত্যার খবর প্রায়শই মেলে সংবাদ পত্রে। এমন ঘটনার কারণ কিন্তু কাউকে অধিক বিশ্বাস। ভুল মানুষকে ভালোবেসে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পর তার কর্তৃক ব্ল্যাক মেলের শিকার হয়েছেন অনেকে। এমন ঘটনা প্রায়শই আসে খবরে। তাই আগে থেকে সতর্ক হন।
বিপরীতে থাকা মানুষটাকে ভরসা করা ভালো। কিন্তু, অধিক ভরসা করবেন না। এতে আপনিই পরে বিপদে পড়তে পারে। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তাকে পাঠানোর আগে মাথায় রাখুন এই কয়টি জিনিস। ছবি পাঠানোর আগে এই কয়টি বিষয় নিশ্চিত করুন। আপনার ছোট একটি ভুলে ভবিষ্যতে বড় সমস্যায় পড়তে পারেন- সব সময় এই কথা মাথায় রাখুন।
সে কি আপনাকে ছবি পাঠাতে চাপ দিচ্ছে? অথবা সব গোপন ছবি সে কি নিজের ফোনেই তুলতে চায়? কিছু মুহূর্ত আমরা সকলেই ক্যামেরা বন্দি করে রাখতে চাই। তবে ছবি সময় শুধু আবেগে ভাসলে হবে না বুদ্ধি দিয়ে বিচার করুন। যদি দেখেন সে আপনার গোপন ছবি পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে তার কোনও উদ্দেশ্য আছে।
সব মুহূর্তের ছবি তুলতে হবে এমন নয়। শারীরিক মিলনের সময় কে গোপন মুহূর্তে ছবি তুলতে চেয়েছিল সেটা ভেবে দেখুন। শুরু মাত্র প্রেমিকের মন রাখার জন্য ছবি তোলার দরকার নেই। আর যদি দেখেন সে ছবি তুলতে বেশ উৎসাহী ছিল, তাহলে সেই ছবি ভুলেও তাকে পাঠাবেন না।
সে কতটা ভরসা যোগ্য সেটা নিজের মনকে প্রশ্ন করুন। সম্পর্কের কিছুদিনে মধ্যেই অনেকে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এগুলো যে যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে, সম্পর্কে জড়ানোর আগে সে কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা মনে রাখুন। তেমনই গোপন ছবি পাঠানোর আগে তাকে ভালো করে চিনে নিন। আপনার ছোট একটি ভুলে ভবিষ্যতে বড় সমস্যায় পড়তে পারেন- সব সময় এই কথা মাথায় রাখুন।
একান্ত যদি ছবি পাঠাতেই হয়, তাহলে কটি কথা মাথায় রাখুন। সে যতই বিশ্বাস যোগ্য হোক ছবি এডিট করে পাঠাবেন। এমন ভাবে এ়ডিট করুন, যাতে আপনার মুখ ও গোপনাঙ্গ ব্লার থাকে। ফোনেই ছবি এডিট করার প্রচুর অপশন আছে। তাই সবার আগে মুখ ও গোপনাঙ্গ ব্লার করে তবেই সেই ছবি পাঠাবেন।
ছবির ব্যাক গ্রাউন্ড ব্লার করুন। এটা করা সবার আগে দরকার। তাহলে কারও মনে অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে সে সফল হবে না। কোন জায়গায় ছবি তোলা তা বোঝা কঠিন। তাই একান্ত ছবি পাঠাতে হলে যেমন আপনার মুখ ও গোপনাঙ্গ ব্লার করবেন তেমনই ব্লার করবেন ব্যাক গ্রাউন্ড।
ছবি পাঠানোর আগে নিজের মনকে প্রশ্ন করুন। হতেই পারে আবেগের বসে আপনি তার সঙ্গে কোনও ঘনিষ্ঠ ছবি তুলে ফেলেছেন। কিন্তু, সেই ছবি পাঠাতে আপনার মন চাইছে কি? নিজের মন থেকে ১০০ শতাংশ সম্মতি মিললে তবেই পাঠাবেন। আর পাঠানোর আগে অবশ্যই ছবি এডিট করে নেবেন। নিজের ভুলে সমস্যায় পড়তে পারেন।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে কোনও ব্যক্তির আবেগ বেশি কাজ করে। আর এই আবেগের বসে সমস্যাও দেখা দেয়। কাউকে ভালোবাসতেই পারেন। তবে, শারীরিক মিলনের আগে তার প্রসঙ্গে নিশ্চিত হওয়া দরকার। আর অবশ্যই নিরাপদ যৌন সম্পর্ক গঠন করবেন। কারও শরীরে কোনও রোগ থাকলে যৌন মিলনের সময় তা আপরের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন।