বিয়ের পরের সেই প্রথম স্পর্শ পেতে চান, রইল যৌন মিলনের সাতকাহন
বিয়ের পরের মতো টানটান উত্তেজনা এখন আর অনুভব করেন না। হয়তো অনেকে সোশ্যাল ম্যারেজে বিশ্বাসী নন, তাই তারা লিভ টুগেদার করেন। কিন্তু সেখানেও নেই শান্তি। যৌন মিলনে আগের মতো শান্তি কোথায়। চেনা স্পর্শই অচেনা লাগছে যে, কী করবেন বুঝতে পারছে না। আবার অনেকের মুখের অভিযোগ আসে, যৌন মিলনের সময় সঙ্গী অন্যের নাম উচ্চারণ করে ফেলেন। চলুন এই বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

বিয়ের পর হানিমুনে গিয়ে যে মাথা খারাপ করে দেওয়া যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছিলেন, আজও তা মনে পড়ে কিন্তু আগের মতো আর হয় না। এনিয়ে অনেকেরই আফশোসের অন্ত নেই। তবে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখলে তারও সমাধান রয়েছে। এর মধ্য়ে অন্যতম হল ইন্টারকোর্সের সময়।
সুস্থ যৌনমিলনের সঠিক সময় কোনটা, এটা অনেক সময়ই অগোচরে থেকে যায় বলেই, সঙ্গমের শিখরে পৌছনোটা আর হয়ে ওঠে না। হরমোন বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়টি হল দুপুর তিনটে।
একটা সমীক্ষা বলছে , বিবাহিত দম্পতিদের মধ্য়ে ২২ থেকে ২৮ শতাংশ এবং লিভ ইনে থাকা কাপলদের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এই সমস্যায় ভোগেন।
দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে হরমোনের মাত্রা বাড়ে-কমে। তাহলে অবধারিতভাবে প্রশ্ন আশে, দুপুর তিনটের সময় এমন হরমোনের উৎস্রোত ঘটে কী করে। আসলে দুপুর তিনটের সময় মেয়েরদের শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ সবথেকে বেশি হয়। এতে তাঁদের শক্তিও মনোযোগ সবচেয়ে বেশি থাকে। অন্যদিকে পুরুষদের শরীরেও ওই সময় ইস্ট্রোজনের উৎস্রোত থাকে।
হরমোন বিশেষজ্ঞ এবং বিখ্যাত ওম্যান কোড বইয়ের লেখিকা এলিসা ভিটি জানান, সন্তুষ্টজনক যৌনতার জন্য এমন উপায় বেছে নিতে হয়, যেখানে দুজনেরই যৌন চাহিদা একই মাত্রায় থাকে।
এই কারণেই দুপুর তিনটে নাগাদ যৌনতা সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্টজনক হয়। এলিসার মতে যৌন জীবনে অনেকবড় ভূমিকা রাখে শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের উপস্থিতি। আমাদের অনুভূতির উপরেও অনেকটা প্রভাব ফেলে এই হরমোন।
এই কারণেই দুপুর তিনটে নাগাদ যৌন মিলন তুঙ্গে হয়। যদি বিয়ের অনেকবছর হয়ে গিয়েও থাকে, এই সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পর্ক আগের থেকেও সুন্দর হবে।
তবে দুপুরের পাশাপাশি সুস্থ যৌন মিলনের আরও একটি ভাল সময় হল সকালবেলা। এলিসা ভিটের মতে ঘুমের মধ্যে পুরুষের শরীরের মধ্যে টেস্টোস্টেরণের হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়।
রাতের ঘুমে যেহেতু হরোমোনের মাত্রা ছেলেদের মধ্যে বেশি থাকে তাই ভোরের দিকে দুই পক্ষই যৌন সন্তুষ্টি পায়। এতে সম্পর্ক আরও ভাল হয়।
ইতালিয় একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সন্তান ধারণে ইচ্ছুক দম্পত্তিদের জন্য সকালবেলা অত্যন্ত ভাল সময়। শুধু তাই নয়, সকালে শারীরিক সম্পর্কে জড়িত হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।