- Home
- Sports
- Other Sports
- বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছেন চমক, জানুন ছোট্ট প্রজ্ঞানন্দের অজানা কাহিনি
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছেন চমক, জানুন ছোট্ট প্রজ্ঞানন্দের অজানা কাহিনি
- FB
- TW
- Linkdin
মাত্র ১৬ বছর বয়সে দাবায় ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্বের এক নম্বর দাবারুকে হারিয়ে দেশ তথা গোটা বিশ্বকে অবাক করেছেন আর প্রজ্ঞানন্দ। এয়ারথিংস মাস্টার্স নামের একটি অনলাইন দাবার (Chess) প্রতিযোগিতায় ৩৯তম চালেই প্রজ্ঞানন্দ হারিয়ে দেন কার্লসেনকে।
অনলাইন র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা এয়ারথিংস মাস্টার্সের অষ্টম রাউন্ডে বিশ্বের এক নম্বর ম্যাগনাস কার্লসেনকে অষ্টম রাউন্ডে হারিয়ে চেন্নাইয়ের এই প্রজ্ঞানন্দ এমন চমক দিয়েছে, যা দেখে মুগ্ধ সচিন তেন্ডুলকর, দাবা কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দেরাও।
র্যাপিড দাবার ফর্ম্যাটে হচ্ছে এ যুগের প্রতিযোগিতা। একটা ম্যাচের জন্য ১৫ মিনিট। সঙ্গে প্রত্যেকটি চালের জন্য অতিরিক্ত ১০ সেকেন্ড দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন খেলতে হয় চারটি ম্য়াচ। অনেকটা ফুটবলের মত। জিতলে ৩ পয়েন্ট ও ড্র করলে ১।
কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন প্রজ্ঞানন্দ। তার প্রশংসায় পঞ্মমুখ দেশের সমস্ত প্রাক্তন থেকে বর্তমান দাবারুরা। দেশের একটা বাচ্চা ছেলে কার্লসেনের মত তারকাকে হারানো সত্যি এক কথায় অবিশাস্য়।
২০০৫ সালের ১০ অগস্ট চেন্নাইয়ে জন্ম নেওয়া প্রজ্ঞা ছোট থেকেই বাড়িতে দাবার পরিবেশ পেয়েছে। তার দিদি বৈশালী রমেশবাবুও এক জন নামকরা দাবাড়ু। ৬ বছর বয়সে দাবা শিখতে শুরু করেন। ২০১৩ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে অনূর্ধ্ব-৮ ওয়ার্ল্ড ইউথ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে প্রজ্ঞা। সেখানে জেতার পরে ফাইড মাস্টারের খেতাব অর্জন করে সে।
তার পরে ২০১৬ সালে মাত্র ১২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন বয়সে ভারতের দ্বিতীয় ও বিশ্বের পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হয় প্রজ্ঞানন্দ। অভিমন্যু মিশ্র, গুকেশ ডি, সের্গে কার্জাকিন ও জাভোখির সিন্দারতের পরে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি।
পশ্চিম চেন্নাইয়ের পাডি এলাকায় বাড়ি প্রজ্ঞানন্দের। ব্যক্তিগত জীবনেও খুবই শান্ত স্বভাবের প্রজ্ঞানন্দ। যাতে কোনও দিকে মন না যায় তার জন্য নেটমাধ্যম থেকে দূরে থাকে প্রজ্ঞা। তার বাবাার মতে ছেলে দাবার প্রতি এতটাই ভালোবাসা যে ঘুমিয়েও দাবা খেলেন।
এছাড়া ছোট থেকেই দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের ছবি দেখতে ভালবাসে প্রজ্ঞা। সেটাই তার অবসর কাটানোর মাধ্যম। এছাড়া টেবিল টেনিস খেলতে পছন্দ করেন তিনি। ক্রিকেট দেখতেও পছন্দ করেন ছোট্ট প্রজ্ঞা। চকোলেট খেতেও খুব পছন্দ করেন গ্রান্ডমাস্টার।
দেশের প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দকে নিজের আদর্শ মনে করেন তিনি। ভবিষ্যতে তার মত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য ছোট্ট প্রজ্ঞানন্দের। কার্লসেনকে হারানোর পর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্বনাথন আনন্দও।
কার্লসেনকে হারানোর পর থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন প্রজ্ঞা। তবে তাতে গা একদমই ভাসাননি তিনি। তার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাওয়া ও স্বপ্ন পূরণ করা। অনেকেই মনে করছেন প্রজ্ঞার হাত ধরেই হয়তো দাবাই ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ আসবে ভারতে।