- Home
- World News
- International News
- ২০ বছর পর সামনে এল আল-কায়েদার গোপন ষড়যন্ত্র - ৯/১১-র পরই ছিল আরও বড় হামলার ছক, দেখুন
২০ বছর পর সামনে এল আল-কায়েদার গোপন ষড়যন্ত্র - ৯/১১-র পরই ছিল আরও বড় হামলার ছক, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার আগে এবং পরে এফবিআই-এর হয়ে আল-কায়েদার কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের ভার ছিল এফবিআই এজেন্ট তথা সন্ত্রাস দমন বিশেষজ্ঞ আলি সৌফান-এর উপর। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার প্রথমবারের মতো এই ভয়ঙ্কর হামলার পরিকল্পনা, এবং কীভাবে তা ব্যর্ত করা হয়েছিল, তা প্রকাশ করেছেন সৌফান। ইসরাইলের এক সংবাদপত্রকে তিনি জানিয়েছেন, ইসরাইলি নাইটক্লাব হামলার চক্রান্তের বিবরণ এর আগে প্রকাশ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি কর্তৃপক্ষের। তাই তিনি কখনও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।
এফবিআই-এর এই সন্ত্রাস দমন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ২০০২ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিল, জয়ন আল-আবিদিন মুহাম্মদ হুসেইন ওরফে আবু জুবাইদাহ। এই আবু জুবাইদাহ ছিল প্যালেস্তাইনের একজন আল-কায়েদা অপারেটিভ।
শুধু তাই নয়, আলি সৌফানের দাবি, সে ওসামা বিন লাদেনের দীর্ঘদিনের সহযোগী ছিলেন। সিআইএ-র এক গোপন কেন্দ্রে সাইটে রাখা, আবু জুবাইদাহ-কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সৌফান। আর তাতেই আচমকা ইসরাইলে আল-কায়েদা হামলার চক্রান্ত প্রকাশ পেয়েছিল।
সৌফান জানিয়েছেন, ২০ বছর আগের ঘটনা হলেও, এখনও তার ছবির মতো জুবাইদাহর সঙ্গে সেই কথোপকথন মনে আছে। তিনি ওই আল-কায়েদা জঙ্গিকে বলেছিলেন সে এত সাবধানি এবং একজন পেশাদার সন্ত্রাসবাদী হওয়া সত্ত্বেও, মার্কিন বাহিনীর হাতে ধরা পড়ল কী করে? কোন সূত্র ধরে তাকে ধরা হয়েছে, সে কী জানে?
এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে জুবাইদাহ বলেছিল, আসন্ন আল-কায়েদা হামলার জন্য তাদের ফোনে ইসরাইলি নম্বর রয়েছে বলেই মার্কিন বাহিনী তাকে ধরেছে। মজার বিষয় হল, তার আগে পর্যন্ত ইসরাইলে আল-কায়েদা হামলা চালাতে পারে, সেই সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না আমেরিকানদের।
জুবাইদাহর ভুল করে বলে ফেলা ওই একটা কথাই, তারপর সেই হামলা প্রতিহত করতে সহায়তা করেছিল। জুবাইদাহকে জেরা করে আরও জানা গিয়েছিল, একই রাতে ইসরাইলের একাধিক নাইটক্লাবে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শেষ মুহূর্তে সেই হামলা থামানো গিয়েছিল।
২০০৬ থেকে আমেরিকার কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে বন্দি শিবিরে জায়গা হয়েছে আবু জুবাইদাহর। তার আইনজীবীদের অভিযোগ, সেখানে তাকে তদন্তবাদকারীরা বারবার নির্যাতন করে। এমনকী ওয়াটারবোর্ডিং-এর মতো অমানবিক পন্থাও অবলম্বন করা হয়েছে।
তবে ডান্স ক্লাব হামলাই ইসরাইলে হামলার েকমাত্র আল-কায়েদা ষড়যন্ত্র ছিল না। ২০০১ সালেই রিচার্ড রিড নামে েক ব্রিটিশ আল-কায়েদা অপারেটিভ, একটি ইসরাইলি উড়ানে সম্ভাব্য বোমা হামলার প্রস্তুতি নিতে ইসরাইল উড়ে গিয়েছিল।
উদ্দেশ্য ছিল বিমান ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দুর্বলতা খুঁজে বের করা। তবে ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় সে কঠোর তল্লাশির মুখে পড়েছিল। ফলে হামলার পরিকল্পনা সে বাতিল করে।
পরে ওই েকই ব্যক্তি ২০০১ সালের ডিসেম্বরে প্যারিস থেকে মায়ামি-গামী একটি ট্রান্স-আটলান্টিক ফ্লাইটে তার জুতোয় লুকোনো বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। যাত্রী এবং ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা তাকে আটকেছিল। তারপর থেকে সে পরিচিত হয়েছিল শু বম্বার নামে।