- Home
- World News
- International News
- করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য বদ্ধ ঘরও নিরাপদ নয়, যথেষ্ট নয় ৬ ফুট দূরত্ব
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য বদ্ধ ঘরও নিরাপদ নয়, যথেষ্ট নয় ৬ ফুট দূরত্ব
- FB
- TW
- Linkdin
বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস। স্থির বাতাসে কয়েক ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে করোনার জীবাণু। এমনই উদ্বেগের কথা শোনাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল অ্যান্ড প্রিভেনশন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞদের এই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই করোনাভাইরাস কী করে ছড়িয়ে পড়ে তাই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
সোমবার সিডিসির রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা সম্ভবত ৬ ফুটের বেশি দূরত্বের মানুষদের সংক্রমিত করেছে। আর এই সংক্রমণ ঘটছে কম বায়ুচলচলকারী স্থানে বা বদ্ধ কোনও এলাকায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা ছোট ছোট ফোনা বা কণা বাতাসে ছড়িয়ে দেন। বায়ু চলাচল কম থাকায় সেগুলি ঘন হয়ে অবস্থান করে।
সিডিসির মতে ছোট ছোট ফোঁটাগুলি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় সেগুলি মাটিও পড়ে যায়। আর সেগুলিও বাতাসের মিশে যায়। ধোঁয়া যেমন বাতাসে স্থির হয়ে থাকে এগুলিও তেমনই বাতাসে স্থির হয়ে থাকে।
সিডিসি মনে করছে বেশি কাছাকাছি থাকা মানুষদের মধ্যে সংক্রমণের থেকে বেশি সংক্রমণ ছড়ায় স্থির বাতাসে। মার্কিন বিজ্ঞানীরাও অনেকে জানিয়েছিলেন বায়ুতে দীর্ঘায়িত এয়ারসোলগুলি করোনাভাইরাস সংক্রমণের একটি উৎস হতে পারে।
বায়ুবাহিত সংক্রমণ হল একটি প্রধান উপায় যা দীর্ঘায়িত যোগাযোগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিসরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এয়ারসোলে থাকা ভাইরাসগুলি কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক ঘণ্টা বাতাতে থাকতে পারে। একই সঙ্গে এগুলি ২ মিটারেরও বেশি দূরে যেতে পারে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কথা বলা বা নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেন এয়ারসোলে। প্রচুর পরিমাণে ফোঁটাও ছড়িয়ে পুড়ে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে বায়ু বাহিত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
কাশি বা হাঁচি থেকে বেরিয়ে আসা ভাইরাস অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
সংক্রমণ রুখতে মাস্কের ব্যবহার আর নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা অত্যান্ত জরুরি। পাশাপাশি অফিস বাড়িসহ একাধিক বদ্ধ স্থানগুলিতে বায়ু চলাচল উন্নত করার দিকে নজর দেওয়া অত্যান্ত জরুরি বলেও মত প্রকাশ করা হয়েছে।