- Home
- World News
- International News
- করোনাভাইরাস টিকা পরীক্ষায় কোনও তাড়াহুড়ো নয়, মর্ডানাসহ ৩ মার্কিন সংস্থা তেমনি চাইছে
করোনাভাইরাস টিকা পরীক্ষায় কোনও তাড়াহুড়ো নয়, মর্ডানাসহ ৩ মার্কিন সংস্থা তেমনি চাইছে
ভোট বৈতরণী পার হওয়ার জন্য মহামারিকেও হাতিয়ার করতে পিছনা হচ্ছে না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে আসুক। কিন্তু প্রতেষধক বিকাশকারী সংস্থাগুলির এবার প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে ট্রাম্পের এই ইচ্ছেকে। কারণ ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে সংস্থাগুলির তৈরি প্রতিষেধক সম্মূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি অনুমোদন না নেওয়ার দিকেই হাঁটছে। এই মর্মে আগামী সপ্তাহে ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন ও মর্ডানার মত টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি একি যৌথ বিবৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
- FB
- TW
- Linkdin
করোভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে তৈরি হচ্ছে একাধিক প্রতিষেধক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধকেরই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়নি। এই অবস্থাতেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইছেন নভেম্বরের আগেই বাজারে আসছে করোনা প্রতিষেধক।
মার্কিন রাষ্ট্রপতির এই অপ্রকাশিত ইচ্ছেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চলেছে তিনটি মার্কিন প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থা। জনসন অ্যান্ড জনসন, ফাইজার, মর্ডানা ।
বিবৃতিতে বলা হতে পারে তৃতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা নিরীক্ষায় পাশ করলেই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে করোনাভাইরাসের টিকাগুলি ১০০ শতাংশ নিরাপদ ও কার্যকরী কিনা। তাই পরীক্ষা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অনুমোদন নেওয়ার পথে হাঁটা থেকেও বিরত থাকবে।
চলতি সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত যৌথ বিবৃতি জারি করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে বিশ্বের প্রথম সারির একটি সংবাদ পত্র।
তিনটি সংস্থার বক্তব্য বিভিন্ন করোনাভাইরাসের টিকা প্রস্তুত করার মূলে গুরুত্ব দেওয়া হয় বৈজ্ঞানিক সততা, নিষ্ঠা ও টিকার গুণগত মান। কিন্তু দ্রুত পরীক্ষা চালাতে তা ব্যাহত হতে পারে বসেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুটা হলেও পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু তা-সত্ত্বেও ভ্যাক্সিন অনুমোদনে এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।
একটি সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানান গেছে মর্ডানা ইতিমধ্যেই ধীরেসুস্থে তৃতীয় পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ের দিকেই হাঁটছে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তার শেয়ারেও।
মর্ডানা, ফাইজার ও জনসন অ্যান্ড জনসনের মূল বক্তব্যই হল তৃতীয় দফার পরীক্ষা তাড়াহুড়ো করলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। টিকা গ্রহণকারীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হতে পারেন।
এখনও পর্যন্ত করোনা টিকার দৌড়ে এদিয়ে রয়েছে, অ্যাস্ট্রোজেনেকা, ফাইজার আর মর্ডানা।
তবে সবকিছু খতিয়ে দেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়েই করোনা টিকা বাজারে আনার প্রয়াস চালান হচ্ছে।