- Home
- World News
- International News
- মহামারী বিধ্বস্ত বিশ্বে বাদ গেল না দানবাকৃতি গরিলাও, হাসপাতালে ভর্তি করে হল করোনা পরীক্ষা
মহামারী বিধ্বস্ত বিশ্বে বাদ গেল না দানবাকৃতি গরিলাও, হাসপাতালে ভর্তি করে হল করোনা পরীক্ষা
সারা বিশ্ব এখন অতিমারী করোনায় কাবু। মানুষ তো বটেই রেহাই মিলছে না পশু-পাখিদেরও। বিড়াল থেকে কুকুর, বাঘ সবার শীররেই থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। এবার করোনা বিধ্বস্ত আমেরিকায় দানবাকৃতি গরিলারও হল করোনা টেস্ট।
- FB
- TW
- Linkdin
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশাল আকৃতির এক গরিলাকে শুইয়ে রাখা হয়েছে অপারেশন থিয়েটারের টেবিলে। তাকে শান্ত করতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে গিয়েছে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
গরিলাটির ওজন প্রায় ১৯৬ কিলোগ্রাম। তার নাম “সানগ”। জানা গিয়েছে, মায়ামি চিড়িয়াখানার বাসিন্দা ৩১ বছরের সানগো নিজের পরিবারের সদস্যের সঙ্গে সংঘর্ষ করে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। চিড়িয়াখানা কৰ্তৃপক্ষ রক্তাক্ত আঘাতপ্রাপ্ত গরিলাটি দেখে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ১৯৬ কিলোগ্রাম ওজনের বিশাল গরিলাটিকে চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীরা যথেষ্ট কষ্ট এবং সাহসিকতা দিয়ে চিকিৎসা সম্পন্ন করেন। স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে চিকিৎসক, প্রত্যেকেই হিমশিম খান।
গরিলাটির শরীরে এক্সরে, আলট্রাসাউণ্ড, টিবি টেস্ট করা হয়। শেষমেশ হয় করোনা পরীক্ষাও।
আঘাতপ্রাপ্ত গরিলাটির দীর্ঘ চিকিৎসা এবং শরীরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, গরিলাটির শরীরে কোন হাড় ভাঙেনি।
আশার কথা গরিলাটির রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা, চিকিৎসার পর সানগ ফের ফিরে গিয়েছে নিজের আস্তানায়, মিয়ামি চিড়িয়াখানার খাঁচায়। বর্তমান তাকে চিড়িয়াখানায় বাকি গরিলা থেকে পৃথক করে রাখা হয়েছে।
চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানিয়েছে, ভাই বার্নির সঙ্গে সানগের এমনিতে ভালোই মিলমিশ। কিন্তু মাঝেমধ্যে মাথা গরম হয়ে যায় সানগের। এবারও তেমনই হয়েছিল।
ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে গিয়েই গুরুতর চোট পায় ৩১ বছরের সানগো।
বার্নির কামড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সানগোর শরীর।
তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্যই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই চিকিৎসকরা ঠিক করেন, শানগোর করোনা টেস্টও করিয়ে নেওয়া হবে।
কিন্তু তাকে দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন হাসপাতালের কর্মীদের অনেকেই।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সানগের শরীরের কোনও হাড় ভাঙেনি। তবে কিছু জায়গায় গুরুতর চোট রয়েছে। সেগুলো সারতে সময় লাগবে। এরই মধ্যে সানগো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভার্চুয়াল জগতে।
করোনা যে পশুদের শরীরেও থাবা বসাচ্ছে, তা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গত মার্চেই হংকংয়ের বাসিন্দা একটি কুকুর করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়। সেই খবর ঘোষণা করেছিল হংকংয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রকই। যদিও কুকুরটির দেহে সংক্রমণ হয়েছিল খুবই কম মাত্রার।
তাই সানগের করোনা টেস্টের সময়ও চিন্তায় ছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সকলকে স্বস্তি দিয়ে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।