- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- রাত পোহালেই তৃতীয় দফা - ভোটের সেরা লড়াই অপেক্ষা করে আছে এই ৫ আসনে, দেখুন
রাত পোহালেই তৃতীয় দফা - ভোটের সেরা লড়াই অপেক্ষা করে আছে এই ৫ আসনে, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
বাসন্তী
বাসন্তী বিধানসভা আসন থেকে পর পর সাত বার আরএসপির টিকিটে জয়ী হওয়ার পর, ২০১৬ সালে তৃণমূলের গোবিন্দ নস্করের কাছে ১৬,৬০৭ ভোটে হেরেছিলেন সুভাষ নস্কর। গোবিন্দ নস্কর পেয়েছিলেন প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট, আর সুভাষ নস্কর পেয়েছিলেন ৪০.৭২ শতাংশ ভোট। এবার তৃণমূল গোবিন্দ নস্করের পরিবর্তে প্রার্থী করেছে প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল মন্ডলকে। ২০১১ সালে ক্যানিং পশ্চিম আসন থেকে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। সংযুক্ত মোর্চার মনোনয়নে ফের প্রার্থী হয়েছেন আরএসপির সুভাষ নস্কর। আর বিজেপির প্রার্থী রমেশ মাজি। ৫ বছর পর ফের কি আসনটি নিজেদের দখলে আনতে পারবে আরএসপি?
ধনেখালী
ধনেখালী বিধানসভা আসনটি হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই লোকসভার সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রদীপ মজুমদারকে ৫৮ হাজারেও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন তৃণমূলের অসীমা পাত্র। এবারও বিদায়ী মন্ত্রীকেই প্রার্থী করেছে তৃমমূল কংগ্রেস। আর বিজেপির বাজি তুষার মজুমদার। সংযুক্ত মোর্চা মনোনীত এই আসনের কংগ্রেস প্রার্থী অনির্বাণ সাহা। ৫ বছর আগে বিশাল ব্যবধানে জিতলেও, বিজেপির জেতা লোকসভা আসন এলাকায় তৃণমূল আসনটি ধরে রাখতে পারে কিনা, সেই দিকেই সকলের আগ্রহ।
রায়দিঘি
রায়দিঘি আসনটি বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের আসন হিসাবেই পরিচিত। বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে এই কেন্দ্র, আর সবসময়ই মানুষের পাশে দেখা গিয়েছে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে। এহেন জনপ্রিয় মন্ত্রীকেই ২০১১ ও ২০১৬ সালে পরাজিত করেছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী তথা অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। তবে ২০১৬-তে তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ১,২২৯। দেবশ্রী ১ লক্ষের কিছু বেশি আর কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ১ লক্ষের কিছু কম ভোট পেয়েছিলেন। অন্যদিকে, বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৭,৭০৩ টি ভোট। এবার আর দেবশ্রী নেই, তৃণমূল প্রার্থী করেছে ডাক্তার অলোক জলদাতাকে। উল্টোদিকে রয়েছেন সেই কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এবার নিজের জায়গা পুনর্দখল করতে পারবেন কান্তি, নাকি বিজেপি মাঝখান থেকে সব হিসেব নিকেশ উল্টে দেয়, সকলেরই আগ্রহ রয়েছে। বিজেপির প্রার্থী শান্তনু বাপুলি।
শ্যামপুর
হাওড়া জেলার শ্যামপুরে ২০০১ সাল থেকে বিধায়ক পদে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কালীপদ মণ্ডল। এবারও তিনিই প্রার্থী। ২০১৬ সালে তিনি ১.০৮ লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়ে কংগ্রেস প্রার্থী অমিতাভ চক্রবর্তীতে ২৬,০০০ এরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এবারও কংগ্রেস প্রার্থী অপরিবর্তিত। অন্যদিকে, ২০১৬-য় বিজেপি প্রার্থী মৌসুমী বিশ্বাসের ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ৮,০৭৫টি ভোট। এবার অবশ্য বিজেপি এই আসনে প্রার্থী করেছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীকে। এবারও তৃণমূল-কংগ্রেস হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, না ডার্ক হর্স হয়ে উঠবেন তনুশ্রী, সেটাই দেখার।
তারকেশ্বর
হুগলি জেলার অন্যতম তীর্থস্থান তারকেশ্বর। এই আসন থেকে এইবার বিজেপি প্রার্থী করেছে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা সাংবাদিক-রাজনীতিবিদ স্বপন দাশগুপ্তকে। ২০১১ সাল থেকে পর পর দুবার তৃণমূলের টিকিটে এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা রচপাল সিং। তবে, ২০১১ সালের যেখানে তৃণমূল ৫৫.১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, ২০১৬ সালে তা কমে ৫০.৭৫ শতাংশে দাঁড়ায়। অন্যদিকে বিজেপির ভোট, ১.৭০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯.৩৬ শতাংশে পৌঁছেছিল। তবে ২০১৯ সালে অবস্থাটা অনেকটাই পাল্টে যায়। তারকেশ্বর পরে আরামবাদ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। এই আসনে সামান্য ভোটে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূলের ভোট ছিল ৫১.০৫ শতাংশ এবং বিজেপির ভোট ছিল ৩৭.৪৫ শতাংশ। এবার কি ফারাকটুকু মিটটিয়ে ফেলতে পারবেন স্বপন দাশগুপ্ত?