- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- বিজেপি এলে CAA হবেই, কিন্তু NRC-র কথা তুলছে কেন তৃণমূল - গেরুয়া শিবিরের কী পরিকল্পনা
বিজেপি এলে CAA হবেই, কিন্তু NRC-র কথা তুলছে কেন তৃণমূল - গেরুয়া শিবিরের কী পরিকল্পনা
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর জন্য বিজেপি যে নির্বাচনী ইস্তাহার বা সংকল্পপত্র প্রকাশ করেছে, তাতে ঘটা করে সিএএ লাগু করার কথা বলা থাকলেও, এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জী আপডেট করার কথা বলা নেই। তবু নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে আব্বাস সিদ্দিকী সভায় সভায় বলে যাচ্ছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে অসমের মতো এনআরসি তৈরি করবে বাংলাতেও। জনগণের নাগরিকত্বের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। সত্য়িই কি তাই? কেনই বা সিএএ-এনআরসি নিয়ে এই ধোঁয়াশা?
- FB
- TW
- Linkdin
রবিবারও পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আরও একবার নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, দূরদূরান্ত অবধি বাংলায় এনআরসি তৈরির কোনও পরিকল্পনা নেই গেরুয়া শিবিরের। তবে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ লাগু করা হবেই।
কারণ, প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষা পেতে যারা পালিয়ে ভারতে চলে এসেছিল, সেইসব উদ্বাস্তুদের নাগরিক অধিকার প্রদান করতে চায় বিজেপি। বিজেপি নেতা আরও বলেছেন, নিপীড়িত উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি তাদের দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিএএ-এনআরসি নিয়ে এই ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কৈলাস। সিএএ আইন অনেকের উপকার করবে দাবি করে এই বিজেপি নেতা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কেন এর বিরোধিতা করছে?
রাজ্য বিজেপির দাবি নতুন নাগরিকত্ব আইন পশ্চিমবঙ্গের ৭২ লক্ষেরও বেশি বাসিন্দা-সহ ভারতে মোট দেড় কোটিরও বেশি মানুষকে উপকৃত করবে। বাংলায় জনসংখ্যার একটা বড় অংশ মতুয়া সম্প্রদায়ের। মূলত ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ১৯৫০-এর দশক থেকে তারা পশ্চিমবঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন। নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ-২৪-পরগনা এবং রাজ্যের অন্যান্য জেলায় এই সম্প্রদায়ের অন্তত ৩০ লক্ষ সদস্য রয়েছেন। তাঁরা এই নতুন আইনের সুবিধা পেতে পারে।
সিএএ আইনে নাগরিকত্ব লাভের আশায় ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে ব্যাপকভাবে ভোট দিয়েছিলেন মতুয়ারা। পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে চারটি লোকসভা আসন এবং ৩০ থেকে ৪০টি বিধানসভা আসনে ফলাফল নির্ভর করে মতুয়া ভোটের উপরে। ২০১৯-এ সিএএ আইন পাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করেছিল মোদী সরকার। এবার, ২০২১ সালের বিধানসভায় তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সরকারে এলে প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকেই সিএএ লাগু করবে।
এই অবস্থায় মতুয়া ভোট বিজেপির দিকে যাওয়া রুখতে তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে সিএএ বাস্তবায়ন এবং এনআরসি আপডেট করার বিষয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারলে রাজনৈতিক লাভ হতে পারে।
তবে শুধু সিএএ লাগু করাই নয়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মতে এই রাজ্যের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অনুপ্রবেশের দুর্ভোগ, দুর্নীতি, তোলাবাজি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি সহ্য করে তিতিবিরক্ত। তাই এবার 'আসল পরিবর্তন' আসবেই।