ডায়মন্ড হারবারের বদলা বর্ধমানে, নাড্ডার সফরে দিনভর কী ছিল, জেনে নিন
১০ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারে নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়েছিল। প্রায় একমাস পর ফের রাজ্য সফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বর্ধমানে জনসভা থেকে শুরু করে কৃষক পরিবার থেকে শস্য সংগ্রহ। কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ। পরে পদযাত্রা। শেষে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দিলেন নাড্ডা।
- FB
- TW
- Linkdin
শনিবার বেলা এগারোটা নাগাদ অন্ডাল বিমানবন্দরে নামেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখান থেকে সোজা চলে যান বর্ধমানের কাটোয়া জনসভায়। সেখানে কৃষক সুরক্ষা অভিযানে অংশ নিয়ে কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেন নাড্ডা।
আগামী ২৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে কৃষক ভোজন করা হবে বলে সভা থেকে জানান জেপি নাড্ডা। কৃষকদের হাত ধরেই বাংলায় পরিবর্তন হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, বাংলার মানুষকে পরিবর্তনের আহ্বান জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানে গো মাতাকে নিজে হাতে ঘাস খাওয়ান নাড্ডা।
কাটোয়ার সভা শেষ করে কৃষক পরিবারে গিয়ে শস্য সংগ্রহ করেন জেপি নাড্ডা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কৃষক পরিবার থেকে শস্য় দানা সংগ্রহ করেন তিনি।
এরপর, বেলা একটা নাগাদ কৃষক পরিবারে গিয়ে মধ্য়াহ্নভোজ করেন নাড্ডা। নিজেকে কৃষক দরদি প্রমাণ করতে সেখানেই মধ্য়াহ্নভোজন সারেন তিনি। জগনানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা মথুরা মণ্ডলের বাড়িতে দুপুরের খাওয়ার খান দিলীপ থেকে নাড্ডালরা।
কৃষক মথুরা মণ্ডলের বাড়িতে রান্নায় ছিল বাঙালির ছোঁয়া। ভাতের সঙ্গে শাক, বেগুন ভাজা, তরকারি ছাড়াও শেষ পাতে ছিল পায়েস। বাঙালির আদব কায়দায় হাঁটু গেড়েই কলাপাতায় ভাত খান নাড্ডা।
১০ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে তাঁর কনভয়ে হামলা হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবার তাঁর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। কৃষক বাড়িতে খাওয়ার খেয়ে বর্ধমান শহরে পদযাত্রা করেন নাড্ডা। সেখান থেকে বেরিয়ে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেন নাড্ডা।