পুরুলিয়ায় সফল মাটির সৃষ্টি প্রকল্প, মাঠে উৎপাদিত ফসল সরাসরি বাজারে
পুরুলিয়ায় বাস্তবরূপ পেল মাটির সৃষ্টি প্রকল্প। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্য়মে মাঠে উৎপাদিত জমির ফসল সরাসরি বিক্রি করার সুযোগ পেলেন কৃষকরা। সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। জেলাশাসক বলেন, জেলার ১৩টি কৃষক বাজারে মাটি সৃষ্টি প্রকল্পের ইৎপাদিত ফসল বিপণীনের ব্যবস্থা করা হল। এর ফলে জমির উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাবেন কৃষকরা। এছাড়াও, জমির ফসল ফলাতে অনুপ্রেণরা পাবেন তাঁরা।
| Published : Nov 02 2020, 07:37 AM IST / Updated: Nov 02 2020, 07:38 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
বাস্তব রূপ পেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মাটির সৃষ্টি প্রকল্প। রাজ্য সরকারের আওতাভুক্ত এই প্রকল্পে উৎপাদিত জমির ফসল সরাসরি বাজারে বিক্রি করতে পারছেন কৃষকরা।
পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারের উদ্যোগে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের উৎপাদিত জমির ফসল সরাসরি মাঠ থেকে মার্কেটে আনার ব্যবস্থা করল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন।
সাংবাদিক বৈঠক করে জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩টি কৃষক বাজারে উৎপাদিত জমির ফসলের সরাসরি বিপননীর ব্যবস্থা করা হল। এর ফলে কৃষকরা যেমন ন্যায্য দাম পাবেন। তেমনি জমির ফসল উৎপাদনে অনুলপ্রাণিত হবেন কৃষকরাও।
রবিবার পুরুলিয়া সদর শহরে একটি সবজি বিপননীর স্টলের উদ্বোধন করলেন পশ্চিমাঞ্চলমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জী সহ আরও অনেকে।
আত্মনীর্ভরতায় মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে পুরুলিয়া জেলায় সবজি উৎপাদনে প্রথম পদক্ষেপ হতে চলেছে বলে জানালেন জেলাশাসক। কোভিড পরিস্থিতি সবজি চাষে রেকর্ড গড়ল পুরুলিয়া জেলা।
গত বছর পুরুলিয়ায় সবজি চাষের পরিমান ছিল ১৪.৫৭ মেট্রিক টন। এবছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.২৮ মেট্রিক টন। কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন-জীবীকার যোগসূত্র তৈরি করেছে এই মাটির সৃষ্টি প্রকল্প।