দিঘা মোহনায় মৎসজীবীদের জালে কয়েক কোটি টাকার ভোলা, খুশির হাওয়া মেদিনীপুরে

পূর্ব ভারতের সব থেকে বৃহত্তম মাছের মৎস্য নিলাম কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা মোহনায় কয়েক কোটি টাকার তেলিয়া ভোলা মাছ উঠল। কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই লক্ষীর আগমণই ধরে নিয়েছেন মৎসজীবীরা। বহুদিন পর লাভের আশায় খুশি হাওয়া পূর্ব মেদিনীপুরে। চলুন দেখুন ছবি। 

মৎস্যজীবীদের জালে কোটি টাকার 'তেলিয়া ভোলা' মাছ। শনিবার মোট ১২০টি তেলিয়া ভোলা মাছ ওঠে মৎস্যজীবীদের জালে। জানাগিয়েছে, এই পরিমাণ মাছের বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।

পূর্ব ভারতের সব থেকে বৃহত্তম মাছের মৎস্য নিলাম কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা মোহনায় কয়েক কোটি টাকার তেলিয়া ভোলা মাছ ওঠায় খুশি হাওয়া পূর্ব মেদিনীপুরে।  

গত দুই বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সেভাবে ব্যবসা করতে পারেন মৎসজীবীরা।   আমফান-সহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেঁচে থাকাটাই চাপের হয়ে উঠেছিল মৎসজীবীদের। এমন  সময় ভাগ্য ফিরল।

পূর্ব ভারতের সব থেকে বৃহত্তম  মাছের মৎস্য নিলাম কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা মোহনায় কয়েক কোটি টাকার তেলিয়া ভোলা মাছ উঠল। শনিবার মোট ১২০টি  তেলিয়া ভোলা ওঠে মৎস্যজীবীদের জালে। যার একেকটার ওজন প্রায় ১৭ থেকে ১৮ কেজি। কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই লক্ষীর আগমণই ধরে নিয়েছেন মৎসজীবীরা। 

 জানা গেছে,  বিশ্বেশ্বরী ট্রলার থেকে উঠেছে এই মাছ।এই মাছ সাধারণত গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। এই প্রথম একসঙ্গে একটি ট্রলারে এতগুলি তেলিয়া ভোলা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। 

দীঘা মোহনার বিসিবি কাঁটায় নিলাম চলছে। জীবনদায়ী ওষুধের জন্য  এই মাছের পটাকা ব্যবহার করা হয়। তাই বিপুল পরিমাণে এই মাছ বিদেশ রপ্তাহ করা হয়ে থাকে।

মৎসজীবীরা জানিয়েছেন, '২০২২ সালে এই প্রথম একসঙ্গে ১২০ টি মাছ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। দীঘা মোহনায় ভাগ্যক্রমে একজনের ট্রলারে এত গুলি ভোলা উঠে আসায়, আণরা খুশি।'

তবে শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগই নয়, কোভিডের কামড়েও এতদিন সেভাবে মাছ ধরা হয়নি। কোভিড সংক্রমণ কমতেই পরিবহণে ছাড়-সহ বাজার-ঘাটও খুলছে। তাই সবদিক থেকেই ভাগ্য ফিরেছে মৎসজীবীদের।

পূর্ব ভারতের সব থেকে বৃহত্তম মাছের মৎস্য নিলামের এই কেন্দ্রে এদিন রীতিমত হইচই। কে কত দাম হাঁকবে তাই নিয়ে হুটোপাটি। তবে সপ্তাহান্তে সবাই খুশি। 

 অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখে গুণে শেষ করে পারছেন না, সত্যিই কি ১০০ পার করেছে এই ভোট মাছের সংখ্যা। চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে এই কয়েক কোটি টাকার মাছ দেখে।