বাজ পড়া শুরু, সকালেই আকাশ অন্ধকার করে তুমুল বৃষ্টি রাজ্যের ১৪ জেলায়
- FB
- TW
- Linkdin
উত্তর ২৪ পরগণার একাধিক এলাকায় বৃষ্টিতে ঝাপসা চারিদিক। বৃষ্টির পরিমাণও নেহাত কম নয়। সাতসকালে বৃষ্টিতে নাজেহাল সবাই।
বজ্রবিদ্যুৎ -সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে মালদহ, দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে এদিন ভোরেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে বেলা বাড়তেই আর সেটা শুধুমাত্র ৫ জেলায় নয়, রাজ্যের ১৪ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ -সহ তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
রাজ্য়ের নদীঘাটগুলিতেও ফেরি চলাচলের পথে ঝাপসা। কারণ এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে ঘনকুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। তার উপর মুষলধারার বৃষ্টিতে কুপোকাত যাতায়াত ব্যবস্থা।
আগাম বৃষ্টির খবর পেয়ে ছাতা নিয়ে বেরিয়েও স্বস্তি নেই শহরবাসীর। কারণ একেই শীতকালে এহেন বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষ বিরক্ত ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। পারদ চড়লেও সকালের বৃষ্টির সঙ্গে শীতল হাওয়া বইছে।
স্কুল খুলতে না খুলতেই বৃষ্টি। সবে দীর্ঘ কোভিড সংক্রমণ কাটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। স্কুলের মুখ দেখেছে পড়ুয়ারা। তারই মাঝে বৃষ্টি আদতে মাটি করছে সরস্বতী পুজোরও প্রস্তুতি।
মূলত রাতের থেকেই উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ দু'জায়গাতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কিন্তু নেহাতই হালকা ছিল সেটা। সকাল হতেই প্রবলবেগ নেয়। শুক্রবার ৪ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি বাড়বে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস ।
এদিকে অকাল বর্ষণে স্বাভাবিকভাবেই চাষবাসের ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। একেই কোভিডে রোজগার হারিয়েছে। তার উপর অকাল বর্ষণে ক্ষতির মুখোমুখি কৃষকরা।
সাতসকালেই আকাশ অন্ধকার চারিদিক। বাইপাস থেকে শুরু করে সর্বত্রওই ঝাপসা চারিদিক। হেডলাইট জ্বালিয়ে অধিকাংশ গাড়ি রাস্তায় চলাফেরা করছে।
স্কুল খুললেও ক্ষুদেদের এখনওই প্রবেশাধিকার নেই। মূলত পাড়ায় পাড়ায় স্কুল। তবে এহেনও পরিস্থিতিতে কারইবা ঘরে মন টেকে। খেলার দিকেই মন ক্ষুদে স্কুল পড়ুয়াদের।
রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাতেও বাদ নেই । বৃষ্টির প্রভাব সর্বত্রই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ শহরের তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স।