- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- GTA-র বৈঠকের পরেই অন্য মেজাজে মমতা, ফুচকা তৈরি করে বিলি করলেন তিনি- দেখুন ছবিতে
GTA-র বৈঠকের পরেই অন্য মেজাজে মমতা, ফুচকা তৈরি করে বিলি করলেন তিনি- দেখুন ছবিতে
উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জিটিএ-র বৈঠক করেন। পাড়াহেহ শান্তি স্থাপনই তাঁর যে অন্যতম লক্ষ্য তাও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি জিটিএ বৈঠকে বলেন, পাড়াহ দখল করতে নয়। পাহাড়কে ভালবাসতেই তাঁর বারবার দার্জিলিং আসা। এদিন পাহাড়ের উন্নয়নেরও প্রতিশ্রুতি দেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। পাহাড়ে গিয়ে মমতা বরাবরই অন্যরকম ভূমিকায় সামনে আসেন। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এদিন তাঁকে ফুচকা বানিয়ে পরিবেশন করতে দেখা গেল। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একটি প্যাভেলিয়নে ছিলেন মমতা।
| Published : Jul 12 2022, 03:32 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
পাহাড়ে উন্নয়ন চাই। শান্তি চাই। দার্জিলিং ম্যালে দাঁড়িয়ে তেমনই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। পাহাড়ের নতুন নেতৃত্ব ও পাহাড়বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতা বলেন তিনি পাহাড়কে ভালবাসে। তাই বারবার ছুলে আসেন। পাহাড় দখল করার কোনও ইচ্ছে তাঁর নেই।
এদিন পাহাড়ে নবগঠিত জিটিএ বোর্ড শপথ গ্রহণ করে। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন পাহাড়ে অসীম সম্ভাবনা ছিল। এখানে শান্তি থাকলেই উন্নয়ন হবে। কেউ যদি অশান্তির চেষ্টা করে তাহলে তা তিনি বরদাস্ত করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
চরম ব্যস্ততম সফরের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সম্পূর্ণ অন্য মেজাজে দেখা গেল। এদিন একটি ছোট্ট দোকানে দাঁড়ি ফুচকা বিলি করেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুচকা তৈরিও করেন। রীতিমত দক্ষতার সঙ্গে আলু মেখে, চাটনি দিয়ে তৈরি করেন ফুচকার চাট। তারপর নিজে হাতেই তা পরিবেশন করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বর্নিভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের একটি কেন্দ্রে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন। গোষ্ঠীর মহিলাদেরই ফুচকা তৈরি করে পরিবেশন করেন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন জিটিএ সদস্যদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন দার্জিলিং শান্ত থাকুক এটাই তিনি চান। পাহাড়ের মানুষের উন্নয়নের আর সাধারণ মানুষের জন্য জিটিএ কাজ করুন এটাই তিনি চান বলে জানিয়েছেন। পাহাড়ের শান্তি যাতে বজায় থাকে তারও আবেদন জানিয়েছেন পাহাড়ের বাসিন্দাদের কাছে। একই আবেদন জানিয়েছেন জিটিএর কাছেও।
দার্জিলিঙে ২০০ একর জায়গার উপর ‘নতুন শহর’ তৈরির কথা বলেছেন মমতা। সেখানে তৈরি হবে হোম স্টে, শপিং মল, খাবারের দোকান। কার্শিয়াঙ, কালিম্পঙেও এমন প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় ‘‘মিরিকের জন্য অন্য পরিকল্পনা করতে হবে। যাতে ওখানে ইকো-টুরিজম করা যেতে পারে। কারণ ওখানে ভূমিকম্প হয়।’’ চা বাগানে যে সব বাড়ি রয়েছে সেখানে হোম স্টে করার প্রস্তাবও দিয়েছেন। পাহাড়ের মহিলারা গাড়ি চালালে গাড়ি কিনতে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, ‘‘২০২৪ সালের শেষে পাহাড়ের সব ঘরে পানীয় জল পৌঁছে যাবে।’’
দার্জিলিংএ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্পূর্ণ অন্য মেজাজে দেখে ভিড় জমে গিয়েছিল। তাঁকে দেখতে পেয়ে পথ চলতি পর্যটকও থেকে যায। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পরম স্নেহে এক শিশুকেও ফুচকা পরিবেশন করেন।