- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- Municipal Election: পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই চন্দননগর-শিলিগুড়িতে শুরু প্রচার, দেওয়াল লিখন
Municipal Election: পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই চন্দননগর-শিলিগুড়িতে শুরু প্রচার, দেওয়াল লিখন
সোমবারই চারটি পুরনিগমের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, চন্দননগর, বিধাননগর ও আসানসোলে ভোট হবে। আর নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পরই প্রচার শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। শিলিগুড়ি ও চন্দননগরে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। আর সকাল থেকে তা নিয়েই দেখা গিয়েছিল ব্যস্ততা।
| Published : Dec 28 2021, 06:04 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
২২ জানুয়ারি চারটি পুরনিগমে (Municipal Election) ভোট হবে। তবে হাওড়া পুরনিগমকে (Howrah Municipal Election) আপাতত বাদ রাখা হয়েছে। সেখানে কবে ভোট হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। হাওড়া পুরনিগমের ভোট (Vote) প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (State Election Commissioner) সৌরভ দাস বলেন, "হাওড়া নিয়ে রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি। সেই কারণে হাওড়া পুরনিগমের ভোট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।"
তাই হাওড়াকে বাদ রেখেই বকেয়া চার পুরনিগমের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি লাগু করা হয়েছে। এই ভোটের গণনা ২৫ ডিসেম্বর। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ ডিসেম্বর।
সোমবার এই ঘোষণার পর, আজ সকাল থেকেই ভোটের প্রচারে (Vote Campaign) বেরিয়ে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা না হলেও ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে তারা। সেখানে অবশ্য প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রাখা হচ্ছে। এই প্রচারকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে শিলিগুড়ি ও চন্দননগরে (Chandannagar)।
সকাল থেকে চন্দননগর পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করে তৃণমূল। দলীয় পতাকা (Party Flag) হাতে প্রচার করতে দেখা যায় তাদের। এমনকী, দলীয় প্রতীক দিয়ে দেওয়া লিখনও শুরু করে দিয়েছে তারা।
তবে শুধুমাত্র তৃণমূলই (TMC) নয়, সেখানে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি (BJP)। আজ সকাল ১০টা নাগাদ চন্দননগর পুরনিগমের অন্তর্ভুক্ত ২২ নম্বর ওয়ার্ডে কালীমন্দির তলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে দেওয়াল লিখনের মধ্য দিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির যুব সভাপতি সুরেশ সাউ।
প্রচারে বেরিয়ে সুরেশ সাউ বলেন, "কলকাতায় ভোট ঘোষণার সময়ই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাদের এখানেও শীঘ্রই ভোটের ঘোষণা হবে। কারণ মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর প্রশাসক দিয়ে পুরসভা চালানো হচ্ছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই পুরনিগরে অব্যবস্থা রয়েছে। আর এর জন্য শুধুমাত্র দায়ি তৃণমূল (TMC)। এটাই ভোটের একমাত্র ইস্যু।"
চন্দননগরের পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও (Siliguri) শুরু হয়েছে প্রচার। সেখানে ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা। দেওয়ালে অবশ্য প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। এছাড়া দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার করেন তাঁরা।
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর এখনও পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু, তার আগেই দলকে জেতাতে কোনও রকম ত্রুটি রাখতে চাইছেন না কর্মীরা। শিলিগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর নাম ফাঁকা রেখে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা মাটিগাড়া নকশাল বাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা।
শঙ্কর ঘোষ বলেন, "ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়া নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। আমরাও এই নির্বাচনের প্রচার শুরু করলাম। ভারতীয় জনতা পার্টি যে কোনও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিল। বোর্ড গঠন করার জন্য যে পরিস্থিতির প্রয়োজন আমাদের দল সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমরা শিলিগুড়ি পুর নিগমের বোর্ড গড়ব সেটা নিশ্চিত।"