- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, পুলিশের গাড়িতে আগুন- দেখুন সেরা ১৫টি ছবি
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, পুলিশের গাড়িতে আগুন- দেখুন সেরা ১৫টি ছবি
- FB
- TW
- Linkdin
আবিজেপি নেত্রী মীনাদেবী পুরোহিত মাথা ফেটে জখন হয়েছেন। মিছিল থেকেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শুধু .মীনাদেবী পুরোহিত নয় অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছে। আর সেই কারণ রাজ্য বিজেপি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে পুলিশকে। আগেই বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছিল পুলিশের এজাতীয় আচরণ ঠিক নয়।
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজন ছিল। দিনভর বিজেপি কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের জের, অভিযান শেষের দিকে রবীন্দ্র সরণীতে একটি পুলিশের পিসিআর ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধ। পরে দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে সকাল থেকে নবান্নমুখী অধিকাংশ রাস্তাই বন্ধ করে দিয়েছিল ব্যারিকেড দিয়। সেই ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অনেক জায়গায় ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেডে লাথি মারেন।
মিছিল নিয়ে নবান্ন মুখে অগ্রসর হওয়ার জন্য জোর করেন বিজেপি রাজ্যসভাপতি । সেই সময় পুলিশ জোর করে তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। তাঁর সঙ্গে থাকা নেতাদেরও তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে।
নবান্নে যাওয়ার সব রাস্তাই বন্ধ ছিল। কিন্তু বিজেপি কর্মীরা তা ভেঙে এদিয়ে যেতে চায়। তাতে বাধা দেয় পুলিশ। তারপরই বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেডে লাথি মারে।
রাস্তাতেই বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। হাওয়া থেকে মিছিল নিয়ে বার হন তিনি। কিন্তু হাওড়া ময়দানের কাছে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়।
বিজেপির মিছিলে পুলিশের বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্যে করে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন কাঁদানে গ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে গেছে বহু বিজেপি কর্মী।
হাওড়া থেকে মিছিল নিয়ে নবান্নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাস্তাকেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন যেখানে আটকানো হবে সেখানেই বসে তিনি ধর্না দেবেন।
কড়া নিরাপত্তার ব্যারিকেডে মোড়া ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মস্থল নবান্ন। তার সঙ্গো ছিল জল কামান। প্রবল এই বৃষ্টির মধ্যে একাধিক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের আটকাতে জল কামান ব্যবহার করে পুলিশ। প্রবল জলের তোড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
দিলীপ ঘোষের কথায় বহু বিজেপি কর্মী আহত হয়েছে। তাদের অনেকতেই হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়েছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে ঠিক কত জন আহত হয়েছে তার কোনও স্পষ্ট উত্তর এখনও বিজেপি দিতে পারেনি।
এদিন সাঁতরাগাছি যেতেই পারেননি শুভেন্দ অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্য়ায় ও রাহুল সিনহা। পিটিএস থেকেই তাদের আটকে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই সোজা নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। সেখানেই বসিয়ে রাখা হয়েছিল দীর্ঘ সময়।
হাওড়া জেলায় বেশ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। নবান্নকে ঘিরে সব রাস্তায় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। সাঁতরাগাছির সামনে বিশাল ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। গঙ্গাবক্ষে পুলিশের বিশেষ টহলদারি চলছে। হাওড়া ফোর-শো রোডেও ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। হাওড়া স্টেশন থেকে কেউ যাতে আসতে না পারে তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। বিদ্যাসাগর সেতুর আগেও কড়া পুলিশি ব্যারিকেড রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে জল কামান, বজ্র যান। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশের সঙ্গে বচতা করলেও পিটিএসেই আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে শুভেন্দু বলেন যে কোনও মোর্চার নিয়মই হল প্রথমে একটি ব্যারিকেড তোলা হবে। তারপর দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙা হবে সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে। তারপরই শেষ হয়ে যাবে বিক্ষোভ। কিন্তু এখানে পুলিশ যে আচরণ করছে তা শোভনীয় নয়। তিনি বলেন উত্তর কোরিয়ার মতই বাংলার প্রশাসন হয়ে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানুষ নেই তাই এই আচরণ করছে পুলিশ। তাই যেসব পুলিশ কর্মী এজাতীয় আচরণ করছে তাদেরও দেখে নেওয়া হবে।
সাঁতরাগাছিতে বিশেষ নিরপত্তা। বেশ কয়েকটি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। রাখা হয়েছিল ড্রোন জলকামান আর পুলিশের ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মী সমর্থকদের চাঙ্গা করাই ছিল উদ্দেশ্যে। তারপর এটাই ছিল সুকান্ত মজুমদারের দায়িত্ব নেওয়ার পর সবথেকে বড় কর্মসূচি। তাই প্রস্তুতিতে কোনও রকম ফাঁক রাখা হয়নি। হাওড় ও কলকাতা ঘিরে ছিল কর্মসূচি। দলীয় কর্মীদের আনা হয়েছিল জেলা থেকেও। লকেট মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।