- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- 'সৎ নেতাদের দরকার তৃণমূলে', পদ ও অর্থের ঝুলি নিয়ে কাদের নিশানা করছে 'টিম পিকে'
'সৎ নেতাদের দরকার তৃণমূলে', পদ ও অর্থের ঝুলি নিয়ে কাদের নিশানা করছে 'টিম পিকে'
লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস দল ভোটের হাল ফেরাতে ভরসা রেখেছিল পিকে, অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোর-এর উপর। তারপর থেকে তৃণমূলের প্রচার কৌশল ঠিক করেন প্রাক্তন জেডিইউ নেতাই। বর্তমানে ভারতে কোভিড মহামারির প্রকোপ চলছে। অবশ্য তাই বলে থেমে নেই রাজনৈতিক ব্যস্ততা। এগিয়ে আসছে ২০২১ সাল। তার আগে রাজ্যে সৎ নেতা কিনতে নেমেছে পিকে-র দল। এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
- FB
- TW
- Linkdin
সূত্রের খবর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আলাদা আলাদা দল পাঠিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁরা এলাকার রাজনৈতিক অবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন। আর তা করতে গিয়েই তাঁদের চোখে প্রায় সব জায়গাতেই তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির বিষয় চোখে এসেছে। তাই এখন অন্য দলের বা তৃণমূলেরই বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্য থেকে 'সৎ নেতা'দের খোঁজা হচ্ছে। তারপর টাকার টোপ দিয়ে তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার সিপিএম-এর মুখপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক লক্ষ্মীকান্ত রায়-কে এরকমই প্রস্তাব দিয়েছিল প্রশান্ত কিশোর-এর প্রতিনিধিরা। ওই প্রতিবেদন অনুসারে পিকের জলপাইগুড়ির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ওই প্রবীন সিপিএম নেতাকে বলেছিলেন 'আপনার মতো সৎ নেতার দরকার আছে তৃণমূলে। টাকা পয়সার অভাব হবে না, জেলায় ভালো পদ পাওয়া যাবে'।
সেই প্রস্তাব সরাসরি ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই প্রবীন বিধায়ক। তিনি জানিয়েছেন, বয়সের কারণেই তিনি দলের কাজ থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু মতাদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। টাকা-পয়সা দিয়ে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদেরই কেনা যায়।
ওই সিপিআইএম নেতা আরও দাবি করেছেন, পিকে-র প্রতিনিধিরা নাকি বলেছেন, 'দায়িত্ব নিয়ে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছেন তাঁদের বস। কারণ চারিদিকে দুর্নীতি। এর জবাবে সিপিএম নেতা বলেছেন, তৃণমূলের লোকেরা অসৎ, এটা ভুল ধারণা। মাথা অসৎ বলেই কর্মীরা সেই পথে চলেছে।
শুধু এই নেতাকেই নয়, জেলার আরেক প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা প্রবীন বনমালী-কেও নাকি একই রকম প্রস্তাব দিয়েছিল 'টিম পিকে', এমনটাই অভিযোগ। প্রবীন বনমালী তাঁদের সঙ্গে দেখাই করতে চাননি।
এর সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে দুই মেদিনীপুর, বীরভূম জেলাতেও তাঁদের নেতাদের পদ ও অর্থের প্রলোভন দেখাচ্ছে তৃণমূলের হয়ে ভোট ধরতে নামা প্রশান্ত কিশোরের দল, বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম।
বিজেপি-র কোনও নেতাকে এই ধরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে না শোনা গেলেও কংগ্রেসের কিছু নেতাও এই ধরণের প্রস্তাব পাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
২০১৯ লোকসভায় ৪২ টি আসনের সবকটিতেই জিততে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তার বদলে রাজ্য দেখেছিল ১৮ আসনে জয় নিয়ে বিজেপির উত্থান। এরপরই ভোট বৈতরণী পার হতে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তৃণমূল।
তারপর থেকে কর্পোরেট ধাঁচে 'দিদিকে বলো' বা 'মমতা বাংলার গর্ব'এর মতো প্রচার করেছে তৃণমূল। কিন্তু, তার কোনওটিই প্রত্যাশিত ফল দেয়নি।