স্বাধীনতা দিবসে 'তেরঙ্গা মাস্ক', বিতর্ক তুঙ্গে বর্ধমানে
দেখতে দেখতে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেল। করোনার আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না! জাতীয় পতাকা নয়, স্বাধীনতা দিবসের আগে বাজারে ছেয়ে গিয়েছে তেরঙ্গা মাস্ক! কিন্তু এই মাস্ক ব্যবহার করলে দেশের পতাকার অবমাননা হবে না তো? সোশ্যাল মিডিয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অনেকে। কেউ কেউ আবার 'তেরঙ্গা মাস্ক' ব্য়বহার করতে বারণও করেছেন।
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে কবে! যতদিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততই ঘোরালো হয়ে উঠছে। লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যের সর্বত্রই। সাপ্তাহিক লকডাউন চলছে স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাস অগাস্টেও।
রাত পোহালেই ১৫ অগাস্ট। প্রতিবার দিল্লির লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী, আর কলকাতার রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ি, দোকান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি অফিসেও যথাযোগ্য মর্যাদায় উত্তোলন করা হয় দেশের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা।
করোনা আবহে এবার কী হবে? ছোট করে হলেও প্রশাসনিক স্তরে কিন্ত স্বাধীনতা দিবসে উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। আর সাধারণ মানুষের জন্য বাজারে চলে এসেছে 'তেরঙ্গা মাস্ক'। বর্ধমান জেলার সর্বত্রই পাওয়া যাচ্ছে এই মাস্ক।
লকডাউনে বাজারে মাস্ক বিক্রি করে বাড়তি লাভ হয়, তাহলে ক্ষতি কী! অনেক জায়গায় দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন মাস্ক প্রস্তুতকারকরা।
তেরঙ্গা এই মাস্ক কিন্তু জাতীয় পতাকার প্রতিরূপ। সেক্ষেত্রে মাস্ক যদি থুতু লাগে কিংবা ব্যবহার করার পর কেউ যদি মাস্কটি ফেলে দেন ডাস্টবিনে। তাহলে তো জাতীয় পতাকার অবমাননা হবে! সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নেটিজেনরা। সাধারণ মানুষকে এই মাস্ক ব্য়বহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই।