লকডাউনে শহরে 'অঘোষিত বনধ', শুনশান রাস্তায় টহল দিল পুলিশ
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার 'গোষ্ঠী সংক্রমণ' শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্রই। সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ঘরবন্দি থাকলেন সাধারণ মানুষ। পুলিশের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। শনিবার এমনই ছবি ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে।
- FB
- TW
- Linkdin
সাধারণ মানুষের কথা ছেড়েই দিন, করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই নেই সরকারি আধিকারিক, পুলিশকর্তা, এমনকী জনপ্রতিনিধিদেরও। যতদিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততই ঘোরালো হয়ে উঠছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এখনও আটশো। তবে চিকিৎসায় সাফল্যের হারও যথেষ্ট ভালো। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচশো বারো জন।
করোনা সতর্কতায় সপ্তাহে দু'দিন রাজ্যজুড়ে পুরোদস্তুর লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার। শনিবার দ্বিতীয় দিনে রায়গঞ্জ শহরে লকডাউন ছিল স্বতঃস্বূর্ত। দিনভর কার্যত অঘোষিত বনধ চলল শহরে।
রাস্তাঘাট ছিল শুনশান, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোননি বেশিরভাগ মানুষ। যে দু'একজনকে পাঁয়ে হেঁটে বা বাইকে ঘুরতে দেখা দিয়েছে, তাঁদেরকেও বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা।
পুলিশের তৎপরতা তো ছিলই, রায়গঞ্জে লকডাউন সফল করতে বড় ভূমিকা নেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা।