সংক্ষিপ্ত
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ফের মিলবে চিকেন কাটলেট, বোনলেস চিকেনের স্বাদ। ফের শুরু হতে চলেছে ভারচীয় রেলের প্যান্ট্রি কার পরিষেবা।
দেখতে দেখতে কেটে গেছে প্রায় দুবছর। করোনা গ্রাফের ওঠানামা আজও চলছে প্রায় সমানতালেই। ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া জোড়কদমে চললেও,পুরোপুরি কোভিডমুক্ত পৃথিবী আবার কবে পুরনো ছন্দে ফিরবে সেটা এখনও অজানা। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে এগোচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চালু হচ্ছে বিভিন্ন পরিষেবাও। ইতিমধ্যেই স্বাভাবিক করা হয়েছে ট্রেন চলাচল। রেল যখন তার পুরনো ছন্দে ফিরছে তখন সেই দিক থেকে পিছিয়ে নেই ভারতীয় রেলের(Indian Railways) প্যান্ট্রি পরিষেবা(Pantry Car Returning in Indian Railways)। হ্যাঁ,পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই ফের মিলবে সেই চিকেন কাটলেট, বোনলেস চিকেনের স্বাদ। সৌজন্যে,ভারতীয় রেলের প্যান্ট্রি কার। করোনা পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল প্যান্ট্রি কার। ভিন্নস্বাদের মুখোরোচক খাবারের সঙ্গে ভাত, ডাল, রুটি ও স্ন্যাক্স তো থাকবেই।
করোনা পরিস্থিতি, দীর্ঘ লকডাউনের (Lockdown)একমাত্র দেওয়া হচ্ছিল রেডি টু ইট মিল। সেখানে ছিল নুডলস, পোহা সহ বেশ কিছু বাছাই করা খাবার।প্যান্ট্রি কার পরিষেবা(Pantry Car Service) ফের চালু করার জন্য রেলের কাছে কিছুদিন আগেই অনুমতি চেয়েছিল আইআরসিটিসি(IRCTC)। তাদের আবেদন মেনে নিয়েছে রেল বোর্ড। এই বিষয়ে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিতে চলেছে রেল বোর্ড। ক্যাটারিং পলিসি নিয়ে বৃহস্পতিবার একদফা বৈঠকও হয়েছে। আইআরসিটিসি(IRCTC)-র গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিষ চন্দ্র জানিয়েছেন, ফের এই পরিষেবা শুরু হলে দূরপাল্লার যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা হবে। আবার তাঁরা ট্রেনের ভিতরেই তৈরি করা খাবার অর্ডার করে খেতে পারবেন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে সেই প্রস্তুতি। যে সব কিচেন আছে সেগুলির পরিকাঠামো দেখা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতিতে (Covid situation0প্যান্ট্রি কার পরিষেবা দেশজুড়ে কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয় । সংক্রমণের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। তবে কিছুদিন আগে ই-ক্যাটারিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। ফলে অর্ডার দিয়ে মিলছিল নানা স্বাদের খাবার। দেশজুড়ে প্রথম লকডাউন শুরুর পর থেকেই প্যান্ট্রি কার পরিষেবা তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেয় রেল। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ ছিল। পরে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। তবে সেই সমস্ত ট্রেনে প্যান্ট্রি কার থাকলেও রান্না হত না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আইআরসিটিসি বিভিন্ন স্টেশনে শুকনো খাবার দেওয়ার পরিষেবা চালু করেছিল ই-ক্যাটারিংয়ের মাধ্যমে।
এবার খুব তাড়াতাড়ি ই-ক্যাটারিংয়ের সঙ্গে রেলের পুরনো প্যান্ট্রি কার পরিষেবাও পেয়ে যাবেন যাত্রীরা।সাধারণভাবে ট্রেনের একটি প্যান্ট্রি কারে রাঁধুনি এবং ওয়েটার-সহ ২০ থেকে ৩০ জন কাজ করেন। কমবেশি ৩৫০ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেনে প্যান্ট্রি কার পরিষেবা ছিল। এর মধ্যে আছে মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট, প্রিমিয়াম সার্ভিস ট্রেন রয়েছে। উল্লেখ্য ট্রেনের প্যান্ট্রিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা রেলের স্থায়ী কর্মী নন। ফের এই পরিষেবা চালু হলে তাঁদের রুজি রোজগারেরও সুরাহা হবে। বলা বাহুল্য, সম্প্রতি, তীর্থক্ষেত্রগামী দূরপাল্লার ট্রেনকে সাত্ত্বিক তকমা দিয়েছে ভারতীয় রেল। সেই সঙ্গে সেই সমস্ত ট্রেনে মিলবে বিশুদ্ধ নিরামিষ আহার বা সাত্ত্বিক খাবার।
&