সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানাতেই দেশজুড়ে অভিনন্দনের বান ডাকে। কংগ্রেস রাহুল গান্ধী, এএপি নেতা সঞ্জয় সিং, আরজেডি নেতা মনোজ সিনহা এবং আরও অনেক বিরোধী নেতা কেন্দ্রের সমালোচনা করেন 

কেন্দ্র পিছু হঠেছে। বাতিল করা হয়েছে কৃষি আইন (farm laws)। তবে প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরতে রাজি নন বিক্ষোভরত (Agitating Farmers) কৃষকরা (Protests to continue)। ২০২০ সালে সংসদের বাদল অধিবেশনের সময় পাস করা হয় তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন। হাজার হাজার কৃষক The Farmers Produce Trade and Commerce (Promotion and Facilitation) Act, 2020,The Farmers (Empowerment and Protection) Agreement of Price Assurance and Farm Services Act, 2020 এবং The Essential Commodities (Amendment) Act, 2020 since November 2020-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন। 

শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানাতেই দেশজুড়ে অভিনন্দনের বান ডাকে। কংগ্রেস রাহুল গান্ধী, এএপি নেতা সঞ্জয় সিং, আরজেডি নেতা মনোজ সিনহা এবং আরও অনেক বিরোধী নেতা কেন্দ্রের সমালোচনা করেন ও কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্র এবং কিষাণ আন্দোলনের জয় বলে অভিহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার ঘোষণার পর গাজীপুর সীমান্তে কৃষকরা একে অপরকে জিলিপি খাইয়ে উদযাপনে মাতেন। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত কৃষকদের বড় জয়। তবে এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না। 

কেন্দ্রের সমালোচনা করেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমও। তিনি বলেন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত আসন্ন নির্বাচনের ভয়ে নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের জন্য সহানুভূতি থেকে এই সিদ্ধান্ত আসেনি। টুইট করে চিদাম্বরম বলেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করে যা অর্জন করা যায় না আসন্ন নির্বাচনের ভয়ে তা অর্জন করা যায়! তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা নীতি পরিবর্তন বা হৃদয় পরিবর্তনের দ্বারা অনুপ্রাণিত নয়, এটি নির্বাচনের ভয়ে অনুপ্রাণিত!

অন্যদিকে কৃষকদের সংগঠন সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে তারা জানিয়েছে যে তারা সংসদে আইন বাতিলের জন্য অপেক্ষা করবে। এসকেএম একটি বিবৃতিতে বলেছে যে কৃষকদের আন্দোলন কেবল তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নয়, বরং ফসলের জন্য উপযুক্ত মূল্যের একটি সংবিধিবদ্ধ গ্যারান্টির জন্যও ছিল।

শুক্রবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদী বলেন ঘরে ফিরে যান বিক্ষোভরত কৃষকরা। কৃষি আইন বাতিল করবে কেন্দ্র। মোদী বলেন কেন্দ্র সরকার কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বিক্ষোভ থামানো হোক। ঘরে ফিরে যান প্রত্যেক কৃষক। এদিন মোদী আশ্বাস দিয়েছেন তিনটি কৃষি আইনই বাতিল করবে কেন্দ্র। 

মোদী বলেন কৃষকদের স্বার্থে কাজ করার চেষ্টা করেছে কেন্দ্র। কৃষকদের উপযুক্ত মূল্যে বীজ এবং মাইক্রো-সেচ, ২২ কোটি মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ডের মতো সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করেছে কেন্দ্র। এ ধরনের বিষয়গুলো কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। শক্তিশালী করা হয়েছে ফসল বিমা যোজনাকে। আরও বেশি সংখ্যক কৃষক এর আওতায় এসেছে। 

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন কৃষকরা যাতে তাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সঠিক পরিমাণ পান তা নিশ্চিত করতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্র গ্রামীণ পরিকাঠামো বাজারকে শক্তিশালী করেছে।  শুধু MSP বাড়ানোই নয়, রেকর্ড হারে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে। বিজেপি সরকারের ক্রয়ক্ষমতা গত কয়েক দশকের রেকর্ড ভেঙেছে। 

"