সংক্ষিপ্ত

এ হল আরনল্ড আর অ্যামেলিয়ার গল্প। আমেরিকার কেপ ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টারেই তাদের বাস। সারাক্ষণ দুটিতে একসঙ্গে ঘোরাফেরা করত। কখনও দুটিকে আলাদা দেখা যেত না। 

পায়ে চোট লাগায় অসুস্থ আরনল্ড তখন অপারেশন থিয়েটারে । অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন চিকিৎসকরা । হঠাৎ দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে অ্যামেলিয়া । এক ঝলক দেখতে চায় সঙ্গীকে । সে যে ভালো আছে, তা দেখে  শান্ত করতে চায় উদ্বিগ্ন মনটাকে । কিন্তু ঢুকতে না পেরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে দরজার বাইরে । আর অপেক্ষা করে সঙ্গীর সুস্থ অবস্থায় বাইরে বেরিয়ে আসার ।  এভাবেই 'না-মানুষের' ভালোবাসার সাক্ষী থাকলেন অ্যামেরিকার কেপ ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টারের কর্মীরা ।  

আরনল্ড আর অ্যামেলিয়া। এই দু'টি হাঁস আমেরিকার কেপ ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টারের বাসিন্দা । সারাক্ষণ একসঙ্গে ঘোরাফেরা করত তারা । কখনও দুটিকে আলাদা দেখা যেত না। কিন্তু,কয়েকদিন ধরেই ঠিক মতো চলতে পারছিল না আরনল্ড।  তার পায়ে কোনও একটা সমস্যা হয়েছিল। শুধু বারান্দায় চুপটি করে বসে থাকত । lতা দেখে সন্দেহ হয় সেন্টারের কর্মীদের মনে। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন ,তার পায়ে চোট লেগেছে। কোনও কারণে তার পা ভেঙে গিয়েছে। চিকিৎসকদের অনুমান, সাঁতার কাটার সময় কচ্ছপ বা অন্য কোনও প্রাণী তার পায়ে আঘাত করেছে। তারপর তার চিকিৎসা শুরু করেন তাঁরা। অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর অস্ত্রোপচারের সময়ই আরলন্ডের প্রতি অ্যামেলিয়ার ভালোবাসা টের পান চিকিৎসক থেকে সেখানকার কর্মীরা ।

অস্ত্রোপচারের পর আরনল্ডের জ্ঞান ফিরলে দরজা খুলে দেওয়া হয়। এক ছুটে তার কাছে চলে আসে অ্যামেলিয়া। এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো আছে আরনল্ড । তাড়াতাড়ি সেরে উঠছে সে। পায়ে ব্যান্ডেজ রয়েছে। এখনও তাকে বাইরে ছাড়া হয়নি। হাসপাতালের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। 

আর হাসপাতালে তার কাছেই রয়েছে অ্যামেলিয়া। হাসপাতালের চৌকাঠ পার না করলেও বাইরে থেকেই একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছে তারা। একসঙ্গে খাবারও শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে এই হাঁস যুগলকে। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই আরনল্ড পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা। আর চিন্তামুক্ত হতে পারবে অ্যামেলিয়াও।