সংক্ষিপ্ত
সান্তা ক্লজের গ্রামটি ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ডে, এটি তুষারে ঢাকা। গ্রামের নাম 'রোভানিমি'। এই গ্রামটি বিশ্বের কাছে সান্তা ক্লজের গ্রামের মর্যাদা পেয়েছে। প্রতি বছর সারা বিশ্বের মানুষ এখানে সান্তার সঙ্গে দেখা করতে আসে, কিন্তু গত দুই বছর ধরে কোভিডের কারণে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে বিশিষ্ট ক্যারিকেচারিস্ট ও রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট টমাস নাস্টের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সান্টাক্লজের এই রূপটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই রূপকল্পের প্রচার ও তার জনপ্রিয়তার প্রসারে একাধিক গান, রেডিওর অনুষ্ঠান, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শোনা যায় সান্তাক্লজের নাম। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে সান্টাক্লজের রূপটি আমেরিকান সান্টার মতো হলেও তিনি ফাদার খ্রিষ্টমাস নামেই বেশি পরিচিত।
ফিনল্যান্ডের লোককাহিনী অনুসারে, সান্তা এই অঞ্চলে ২৭০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এখানে 'রোভানিমি' গ্রামে সান্তা ক্লজের মত এক সান্তা বাস করে। মানচিত্রে এই গ্রামটি এখন এই নামেই চলে। সান্তার এই গ্রামে একটি অফিস এবং তার জন্য কর্মচারীও রয়েছে এবং একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটও রয়েছে৷ সান্তা ক্লজের গ্রামটি ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ডে, এটি তুষারে ঢাকা। গ্রামের নাম 'রোভানিমি'। এই গ্রামটি বিশ্বের কাছে সান্তা ক্লজের গ্রামের মর্যাদা পেয়েছে। প্রতি বছর সারা বিশ্বের মানুষ এখানে সান্তার সঙ্গে দেখা করতে আসে, কিন্তু গত দুই বছর ধরে কোভিডের কারণে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে।
২৩ ডিসেম্বর থেকে 'সান্টা ইজ অন হিজ ওয়ে' ইভেন্টের মাধ্যমে 'রোভানিমি'-তে ক্রিসমাস উদযাপন শুরু হয়। এই দিনে, সান্তা ক্লজ তার রেনডিয়ার স্লেজের মাধ্যমে লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে বের হন। সান্তার অফিসে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসগুলি দেখতে পান তা হল শিশুদের থেকে চিঠি এবং উপহার৷ সান্তা এই চিঠিগুলি পড়ে এবং তাদের উত্তরও দেয়। অর্থাৎ যাদের চিঠি তার কাছে পৌঁছায়, সেগুলোও উত্তর হিসেবে শিশুদের কাছে পাঠানো হয়। এক বছরের জন্য, সান্তার মাত্র দুটি কাজ আছে, চিঠি পড়া, তাদের উত্তর পাঠানো এবং শিশুদের জন্য পাঠানো খেলনাগুলির জন্য ভিন্ন ভিন্ন নির্দিষ্ট বিভাগের দায়িত্বে রয়েছে।
রোভানিমিতে আসা পর্যটকরা সান্তার সঙ্গে ছবি তোলেন। যদিও ছবি তোলার কাজটি করেন তার অফিসের কর্মচারীরা করেন। সান্তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য কোনও চার্জ নেওয়া হয় না, তবে ছবি তোলার জন্য একটি চার্জ দিতে হয়। রোভানিমিতে, শিশুদের খেলনা প্রস্তুত করার জন্য একটি বিশেষ কারখানা অছে। এখানে সারা বছর খেলনা তৈরি হয়। সান্তা তার দেখাশোনা করা। সান্তাকে চিঠি পাঠানো এবং তার কাছ থেকে উপহার চাওয়া শিশুদের দাবির প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া। লোকেরা সান্তাকে তাদের ইচ্ছার তালিকাও পাঠায় এবং এই ধরনের একটি দীর্ঘতম তালিকা ২০১২ সালে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলে, যেখানে ৭৫৯৫৪টি শুভেচ্ছা পাঠানো হয়েছিল।
ফিনল্যান্ডের মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯ সালে, যখন কোনও করোনা ছিল না, তখন প্রচুর সংখ্যক পর্যটক বড়দিন উদযাপনের জন্য এখানে আসত। সেই বছর শুধুমাত্র ৭২৪ টা চার্টার ফ্লাইট ক্রিসমাস উদযাপনে যোগ দিতে এখানে এসেছিল। ফোর্বসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোভিডের কারণে এই বছরও পর্যটকদের কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, তাদের একটি ভ্যাকসিন পাসপোর্ট থাকতে হবে। পর্যটকদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং স্যানিটেশনের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমিত দেশ থেকে কোনও পর্যটক গেলে তাঁদের কোভিডের নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে।