সংক্ষিপ্ত
বাচ্চার সঙ্গে যত আলোচনা করবেন, তত সে সমস্যা থেকে দূরে থাকবে। জেনে নিন কী কী কারণে বাচ্চারে পিরিয়ডসের (Periods) কথা জানানো দরকার।
সদ্য ১০ বছরে পা দিল তিন্নি। কালই স্কুল থেকে ফিরে হঠাৎ করে মাকে প্রশ্ন করে বসল পিরিয়ডস (Periods) কী। কেন হয়। কিন্তু, মা রেগে একশা। প্রচন্ড বকা দিয়ে বাচ্চার মুখ বন্ধ করে দিল। এমন ঘটনা এক সময় অনেক ঘরেই ঘটে থাকত। এখন যদিও পরিস্থিতি বদলেছে। বাচ্চাদের (Kids) মায়েরা আগে থেকে সতর্ক করে দেন। কিন্তু, এই বিষয়টি নিয়ে সহজ হন বাচ্চার সঙ্গে। শুধু পিরিয়ডস কী জানালেই হল না, এই সংক্রান্ত সকল তথ্য জানান। বিষয়টি নিয়ে বাচ্চার সঙ্গে যত আলোচনা করবেন, তত সে সমস্যা থেকে দূরে থাকবে। জেনে নিন কী কী কারণে বাচ্চারে পিরিয়ডসের (Periods) কথা জানানো দরকার।
সবার আগে, সঠিক বয়সে বাচ্চাকে পিরিয়ড প্রসঙ্গে জানা। এই বিষয়টি লুকানোর নয়। হঠাৎ করে মাসিক (Periods) হয়ে গেলে বাচ্চা সমস্যায় পড়তে পারে। তাই আগে থেকে জানান এটা কেন হয়, হলে কী কী সতর্কতা মেনে চলতে হবে। স্যানিটারি ন্যাপকিন, মেন্সুরেশন কাপ, সব নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার মুখ থেকে শুনলে এই বিষয়ে ভুল ধারণা তৈরি হবে না।
সাত দিনের বেশি পিরিয়ডস হলে বাচ্চাকে সতর্ক করুন। বাচ্চাকে বলুন কদিন পিরিয়ডস হচ্ছে তা খেয়াল রাখতে। পিরিয়ডসের রক্তের ফ্লো-এর বিষয় খেয়াল রাখতে বলুন। আপনার সঙ্গে বাচ্চার বন্ডিং (Bonding) সহজ না হলে, এই সকল কথা সে আপনাকে বলতে পারবে না। তাই বাচ্চাকে এই কয়টি বিষয় খেয়াল রাখতে বলুন। শরীরে কোনও রকম জটিলতা থাকলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: Preserve Milk: দুধ ফোটনোর সময় কেটে যাচ্ছে, এভাবে ফ্রিজে রাখলে ঠিক থাকবে
পিরিয়ডসের পেট ব্যথা হয় অধিকাংশরই। অনেকের পিরিয়ডসের (Periods) প্রথম দিন পেট ব্যথা করে, কারও কারও দুদিন পর্যন্ত ব্যথা হয়। এই সকল বিষয়ে বাচ্চাকে জানান। এর সঙ্গে অনেকের বমি ভাবও হয়। বাচ্চাকে জানান, এগুলো ভয়ের কিছু নেই। বরং, খুবই সাধারণ বিষয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির ঘরোয়া টোটকা মেনে চলতে পারেন।
পিরিয়ডসের সার্কেল বিষয় বাচ্চাকে অবগত করুন। একবার শেষ হওয়ার ২১ দিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পিরিয়ডস হয়। এই প্রসঙ্গে বাচ্চাকে জানান। দিনের হিসেব রাখতে বলুন। অনেকের পিরিয়ডস (Periods) পিছিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ৯০ দিন ও তার বেশি দেরি হলে তৎক্ষণাত ডাক্তারি (Doctors) পরামর্শ নিন।