সংক্ষিপ্ত
চিকিৎসদের মতে, পিসিওডি (PCOD) আক্রান্ত মহিলাদের ডিম্বাশয়ে অসংখ্য সিস্ট জমে। যা ডিম্বাশয়কে সঠিকভাবে কাজ করতে বাধা দেয়। ফলে সমস্যা দেখা দেয় গর্ভধারণে। এছাড়াও, এই রোগ থেকে ডায়াবেটিস (Diabetes) দেখা দিতে পারে।
সারাদিন কমপিউটারের সামনে বসে কাজ, খাওয়ার অনিয়ম, ফাস্ট ফুড বা প্রসেসড ফুড (Processed Food) খাওয়া এবং একেবারেই শরীরচর্চা (Exercise) না করার জন্য সকলের শরীরে দানা বাঁধছে একাধিক রোগ। এর মধ্যে একটি হল PCOD বা PCOS। আজকাল বহু মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই রোগে আক্রান্ত হলে পিরিয়ডসের (Periods) নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কখনও দু-তিন মাস মাসিক হয়, কখনওবার পিরিয়ডস শুরু হলে বন্ধ হতে চায় না। এছাড়াও, ত্বকে অত্যাধিক ব্রণ (Acne) ও চুল পড়ার (Hair Fall) মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও, আরও একটি বড় সমস্যা হল গর্ভধারণে বাধা।
চিকিৎসদের মতে, পিসিওডি (PCOD) আক্রান্ত মহিলাদের ডিম্বাশয়ে অসংখ্য সিস্ট জমে। যা ডিম্বাশয়কে সঠিকভাবে কাজ করতে বাধা দেয়। ফলে সমস্যা দেখা দেয় গর্ভধারণে। এছাড়াও, এই রোগ থেকে ডায়াবেটিস (Diabetes) দেখা দিতে পারে। তবে, পিসিওডি মানে বন্ধ্যাত্ব নয়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আসলে সমস্যা দূর হয়। বর্তমানে প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে ৪জন পিসিওডি আক্রান্ত। ফলে, ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চললেই এর থেকে মুক্তি পাবেন।
আরও পড়ুন: Heart Attack : হার্ট অ্যাটাক না বুকের ব্যথা, এই লক্ষণ দেখলেই সাবধান না হলেই বিপদ
কী করবেন-
পিসিওডি (PCOD) বা পিসিওস (PCOS) থেকে মুক্তির প্রধান উপায় হল ওজন নিয়ন্ত্রণ করা। এই রোগে আক্রান্ত হলে সবার আগে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন। পরিবর্তন করুন খাদ্যভ্যাস। রোজ ওটস (Oats), গোটা শস্য, ব্রকোলি (Broccoli) খান। ফলের মধ্যে রোজ আপেল খেতে পারেন। একেবারে এড়িয়ে চলুন চিনিযুক্ত খাবার। স্টার্চযুক্ত খাবার একেবারে বাদ দিন। ময়দা খাওয়াও পিসিওডি বা পিসিওস রোগীদের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন: Health Tips: প্রসার বাড়ছে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপির, জেনে নিন কেন করা হয় এই থেরাপি
রোজ প্রচুর সবুজ সবজি খান। এছাড়াও, খাদ্য তালিকায় রাখুন মাছ (Fish), ডিম (Egg), বাদাম, ডাল, স্কিমড মিলক। এমনি দুধ না খাওয়াই ভালো। আর একেবারে এড়িয়ে চলুন ভাজাভুজি ও ফাস্ট ফুড (Fast Food)। প্রক্রিয়াজাত খাবার, জাঙ্ক ফুড খাবেন না। এই ধরনের খাবারের জন্য শরীরে ফ্যাট জমে। আর এর থেকে বাড়ে পিসিওডি-র রোগ। পিসিওডি রোগে আক্রান্ত হলে ডাক্তারি পরামর্শ মেনে ওষুধ তো খাবেনই। তার সঙ্গে নিয়মিত এক্সারসাইজ (Exercise) করুন। নিয়মিত ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। মনে রাখতে হবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে সবার আগে। তা না হল এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কঠিন।