সংক্ষিপ্ত
বহুদিন ধরে চাকরির চেষ্টা করে চাকরি না পাওয়া, চাকরি হারানো- এই সবের জন্য কিছু মানুষ বেকারত্বে ভুগছেন। তেমনই, বসের টার্গেট মিট করতে না পারায় ডিপ্রেশনে (Depression) ভুগছেন অনেকে। নানা কারণে বাড়ছে মানসিক চাপ (Stress)। এই সবের থেকে দেখা দিচ্ছে মানসিক রোগ (Mental Illness)
দুশ্চিন্তা সর্বক্ষেত্রে। পরীক্ষায় (Exam) ভালো ফল করা চিন্তা, চাকরি (Job) পাওয়ার চিন্তা, চাকরি বজায় রাখার চিন্তা, সংসারে আর্থিক সমস্যা (Financial Problem) দূর করার চিন্তা, গাড়ির ইএমআই (EMI) পেমেন্ট, বাচ্চার স্কুলের খরচ- সব নিয়েই রয়েছে দুশ্চিন্তা। মানুষের জীবনের চিন্তার শেষ নেই। একদিকে যেমন, বহুদিন ধরে চাকরির চেষ্টা করে চাকরি না পাওয়া, চাকরি হারানো- এই সবের জন্য কিছু মানুষ বেকারত্বে ভুগছেন। তেমনই, বসের টার্গেট মিট করতে না পারায় ডিপ্রেশনে (Depression) ভুগছেন অনেকে। নানা কারণে বাড়ছে মানসিক চাপ (Stress)। এই সবের থেকে দেখা দিচ্ছে মানসিক রোগ (Mental Illness)।
আরও পড়ুন: Oil Price Today-একটানা ১০ দিন অপরিবর্তিত পেট্রল ও ডিজেলের দাম,জেনে নিন আজকের দাম
এই সমস্যা রেহাই পায়নি বাচ্চারাও (Childrens)। মা-বাবা দুজনে চাকরি (Working) করায় ছোট থেকেই একা একা বড় হচ্ছে বাচ্চা। এর থেকে একাকীত্ম তাকে যেমন হ্রাস করছে, তেমনই ঘরকুণো ও জেদি তৈরি হচ্ছে অনেক বাচ্চা। এই সকল সমস্যা ক্রমে বাড়ছে বাচ্চাদের মধ্যে। বর্তমানে মানুষের সকল দুশ্চিন্তা দূর করতে চিকিৎসকরা ভরসা করছেন কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (Cognitive Behavioural Therapy) বা সিবিটি-র ওপর। ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার, ইটিং ডিসঅর্ডার পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার চলে যায় এই থেরাপি করলে। মানসিক রোগ, দুশ্চিন্তা, জুয়ার নেশা দূর করা সম্ভব কগনিটিভ ডিসঅর্ডার থেরাপিতে। যেমন দূর হয় নেশা তেমনই এই থেরাপি দূর করতে পারে হতাশা বা দুশ্চিন্তা। যারা হীনমন্যতায় ভোগেন, ঘুম না হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন কিংবা মানসিক চাপে (Mental Stress) অসুস্থ বোধ করছেন তারা কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি করাতে পারেন। এখন সব জায়গায় এই থেরাপি করা হয়।
কীভাবে করা হয় কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি -
কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (Cognitive Behavioural Therapy) বা সিবিটি কয়টি সিটিং-এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। প্রথম ধাপে রোগীর অতীত প্রসঙ্গে জানার চেষ্টা করে। জানার চেষ্টা করা হয়, ঠিক কী থেকে এমন মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে তাঁর মধ্যে। এরপরের ধাপে রোগীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির চেষ্টা করে। তার মনের ভয় কাটানো হয়। তৃতীয় ধাপে তাকে সঠিক পথে চালনার চেষ্টা করে। এভাবে কয়টি সিটিং-এর মাধ্যমে রোগীর সকল সমস্যা দূর করার চেষ্টা করে থাকেন চিকিৎসকরা। এই থেরাপি চলাকালীন ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চললে, সব রকম মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন রোগীর।