সংক্ষিপ্ত
বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রবল এই গরমে দাদ, পাথের নখে ছত্রায় সংক্রমণ, খামির সংক্রমণ যৌনাঙ্গে ফুসকুড়ির মত সমস্যা দেখা দিতেই পার।
গ্রীষ্মকালে হজমের সমস্যাই একটি বড় সংস্যা নয়। এই ঋতুতে ক্লান্তির পাশাপাশি শরীর জুড়ে জ্বালা আর চুলকানিও একটি বড় সমস্যা। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এজাতীয় চুলকানি, ব়্যাশ , ঘামাচি এইজাতীয় সমস্যাগুলি আরও বাড়তে পারে। কিন্তু এর থেকে রেহাইয়ের উপায় কী? চলুন রেহাইয়ের উপায় নিয়ে আজ আপনাদের সঙ্গে কথা বলি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রবল এই গরমে দাদ, পাথের নখে ছত্রায় সংক্রমণ, খামির সংক্রমণ যৌনাঙ্গে ফুসকুড়ির মত সমস্যা দেখা দিতেই পার। আর এজাতীয় সমস্যার জন্য দায়ি শরীরে ছত্রাকের বাসবাস। প্রথম থেকে সাবধান না হলে পরবর্তীকালে বড় ধরনের চর্মরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের কথায় ছত্রাক সংক্রমণ কিন্তু ছোঁয়াচে। শরীরের এক অংশ থেকে অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূলত ঘাম জমে এজাতীয় সংক্রমণ তৈরি হয়। প্রথমে চুলকানি আর তারপর তা চর্মরোগের আকার নেয়। ফোলা ভাব তৈরি করে। শিশুদেরও এজাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন গরম আর আর্দ্রতার কারণে ঘাম হয়, তার থেকেই শরীরের ছত্রাকের সংক্রমণ বেড়ে যায়। ছত্রাক সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের সকলেই ত্বকের শুষ্কতার দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। পাশারাশি ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখারও ওপরেও জোর দিয়েছেন ডার্মোটলজিস্টরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ছত্রাক থেকে সংক্রমণ শরীরের যে কোনও জায়গাতেই দেখা যেতে পারে। সংক্রমণ হলে প্রথমে ত্বকের ওপর হালকা লাল দাগ তৈরি হয়। তারপর ক্রমশই সেই দাগ গাড় হয়ে যায়। ধীরে ধীরে চুলকাতে শুরু করে। অনেক সময় এই জায়গায় জ্বালা বোধ হয়। এক ডার্মোটলজিস্ট জানিয়েছেন ক্যান্ডিডা অ্যালবিকান নামের ছত্রাকের কারণে যোনির খালির সংক্রমণ ধটে। তাই থেকে এই অংশে জ্বালা আর চুলকানি হয়। এই সংক্রমণ শিশুদেরও হতে পারে।
প্রথমেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এজাতীয় ছত্রাক সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য কোনও রকম স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আপনার তোয়ালে বা গামছা অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না। তেমনই অন্যেরটা আপনি ব্যবহার করবেন না। প্রতিদিন পোশাক ধুয়ে ব্যবহার করুন। একই মোজা বা অন্তর্বাস পরপর দুই দিন ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
গরমকালে শরীরে ছত্রাক সংক্রমণ রুখতে চিকিৎসরা কতগুলি পরামর্শ দিয়েছেন।
১. গরমকালে টাইট পোশাক না পরাই শ্রেয়
২. জিন্স জুতো এড়িয়ে চলুন
৩. নখ ছোট করে কেটে রাখুন
৪. বেশিক্ষণ ঘামে ভেজা পোশাক পরে থাকবেন না
৫. নিজেকে শুকনো রাখুন.
৬. ঢিলা পোশাক পরুন
৭. পরিষ্কার পোশাক পরুন,
৮. সংক্রমিত স্থানে সুগন্ধী দেবেন না। ব্যবহার করবেন না কোনও ডিওড্রন্ট
৯. তেল মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। ফল সবজি বেশি করে খান
১০. খাবারে চিনির মাত্রা কমিয়ে দিন
তবে চিকিৎসকরা বিশেষভাবে বলেছেন, গ্রীষ্মকালে কুঁচকি, বগল ঘাড় আর যোনি পথ যাতে শুষ্ক থাকে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে । প্রয়োজনে দুই থেকে তিন বার স্নান করারও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।