সংক্ষিপ্ত
লবণ জল দিয়ে স্নান করা জয়েন্টের ব্যথা উপশমের পাশাপাশি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই এর বাইরে লবণ জল দিয়ে স্নান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
ঋতু অনুযায়ী বেশিরভাগ মানুষ গরম বা ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করেন, কিন্তু আপনি কি জানেন যে জলতে লবণ দিয়ে স্নান করলে অনেক সমস্যা দূর হয়। লবণ জল দিয়ে স্নান করা জয়েন্টের ব্যথা উপশমের পাশাপাশি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই এর বাইরে লবণ জল দিয়ে স্নান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
৪০ বছর পর প্রতিদিন একটি এই উপাদান আপনার হাড় মজবুত করতে সাহায্য করবে। কারণ এই সময় থেকে বোন ডেনসিটি কম হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পেশীও দুর্বল হতে শুরু করে। বাত বা আর্থ্রাইটিস কথাটি ব্যাপক অর্থবহ এবং বহুদূর পর্যন্ত প্রসারিত। এটি একটিমাত্র রোগ নয় বরং একই পরিবারভুক্ত অনেকগুলো রোগের সমষ্টি। প্রায় ১০০টি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে হয় বাতরোগ। এই রোগে প্রধানত অস্থিসন্ধি আক্রান্ত হলেও হাড়ের প্রদাহ, ক্ষয় রোগ, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের ব্যথা, মাংসপেশীর ব্যথা,মেরুদণ্ডের প্রদাহ, ক্ষয়, আড়ষ্ঠতা এগুলোও বাতরোগের পর্যায়ে পরে।
জয়েন্টের ব্যথা কম হবে
নোনা জল জয়েন্টের ব্যথাও কমায়। গোসলের সময় জলতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিলে হাড়ের ছোটখাটো ব্যথা এভাবেই চলে যাবে। এ ছাড়া পায়ে খুব ব্যথা হলে হালকা গরম লবণ জল দিয়ে পা ধুয়ে নিলে অবশ্যই উপকার পাবেন।
সংক্রমণও কম হবে
যে কোনও ধরনের ইনফেকশন দূর করতে লবণ জল খুবই উপকারী। আসলে লবণে উপস্থিত খনিজ উপাদান অনেক ধরনের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। লবণ জল দিয়ে স্নান করলে শরীরের সব ছিদ্র খুলে যায় এবং শরীরে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
এমনকি ব্রণ হবে না
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতেও লবণ জল খুবই উপকারী। লবণ জল দিয়ে স্নান করলে ছিদ্রগুলো খুলে যায়, এর পর শরীরের ময়লা সহজেই বেরিয়ে যায়। এভাবে বডি ডিটক্সের কারণে মুখের দাগ ও ব্রণও কমে যায়। এর পাশাপাশি এই জল ত্বককে হাইড্রেট করতেও বেশ উপকারী।
চাপ কম
আরও পড়ুন- এই সরকার বেকার যুবকদের প্রতি মাসে ৭৫০০ টাকা পর্যন্ত দেয়, এভাবে আবেদন করুন
আরও পড়ুন- গরমে পেট সুস্থ রাখতে মুগ-মসুর ডাল মিশিয়ে খান, জেনে নিন এর উপকারিতা
আরও পড়ুন- দুধের উপর ঘন মালাই পেতে চান, তবে কাজে লাগান এই দেশীয় টোটকা
আপনি যদি কোনও কিছু নিয়ে খুব বেশি মানসিক চাপে থাকেন তাহলে অবশ্যই লবণ জল দিয়ে স্নান করা উচিত। আপনি অবশ্যই এটি থেকে উপকৃত হবেন। লবণ জলতে উপস্থিত খনিজ পদার্থ শরীরে শোষিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে সোডিয়াম মস্তিষ্কের উপরও প্রভাব ফেলে। এছাড়া শরীর ডিটক্স করলে শরীরের স্ট্রেসও বের হয়, যার সরাসরি প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে এবং আপনি ভালো অনুভব করেন।