সংক্ষিপ্ত
বর্তমানে খুব বেশি মাত্রায় প্রসার লাভ করছে জরায়ু ক্যান্সার। বহু মেয়ে সম্মুখীন হচ্ছে এই সমস্যার। এমনকী, অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে জরায়ু ক্যান্সারের কারণে। তাই সময় থাকতে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। এবার থেকে এই কয়টি উপসর্গ একেবারে উপেক্ষা করবেন না। শরীরে এমন রোগ বাসা বাঁধলে শরীরে দেখা দেয় এমন সমস্যা। জেনে নিন কী কী লক্ষণ দেখা দেয় জরায়ু ক্যান্সার হলে।
সারা বিশ্বে একাধিক রোগের প্রকোপ বেড়ে চলেছে দিনে দিনে। অল্প বয়সে যেমন ডায়াবেটিস, প্রেসার, কোলেস্টেরল থেকে ফ্যাটি অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তেমনই বাড়ছে ক্যান্সার। বর্তমানে খুব বেশি মাত্রায় প্রসার লাভ করছে জরায়ু ক্যান্সার। বহু মেয়ে সম্মুখীন হচ্ছে এই সমস্যার। এমনকী, অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে জরায়ু ক্যান্সারের কারণে। তাই সময় থাকতে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। এবার থেকে এই কয়টি উপসর্গ একেবারে উপেক্ষা করবেন না। শরীরে এমন রোগ বাসা বাঁধলে শরীরে দেখা দেয় এমন সমস্যা। জেনে নিন কী কী লক্ষণ দেখা দেয় জরায়ু ক্যান্সার হলে।
হঠাৎ করে খিদে কমে যাওয়া হল জরায়ু ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ। এই রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে সবার আগে খিদে কমে যায়। তাই এমন জিনিস উপেক্ষা করবেন না।
তেমনই বমি বমি ভাব কিংবা বারে বারে বমি হওয়াও জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ। এর যদি দেখেন পেটে অতিরিক্ত ব্যথা হচ্ছে কিংবা পেট ফুলে যাচ্ছে, তাহলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। জরায়ু ক্যান্সার হলে এমন হতে পারে।
গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য আমরা সকলেই সাধারণ সমস্যা মনে করি। কিন্তু, জানেন কি জরায়ু ক্যান্সার হলে এমন সমস্যা হতে পারে। এমন সমস্যা হলে অধিকাংশই ঘরোয় টোটকা মেনে চলেন। কিন্তু, তা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটিও ওকটি কঠিন সমস্যা তা মনে রাখা প্রয়োজন।
ওজন বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হন। শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধলে হতে পারে এমনটা। বিশেষ করে জরায়ু ক্যান্সার হলে এমন লক্ষণ দেখা দেয়।
তাছাড়া, মেনোপজের পরও যদি কোনও মহিলার রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অল্প কাজ করলে ক্লান্তি বোধ কিংবা যৌন মিলনে ব্যথা অনুভূত হলে চিকিৎসকরে পরামর্শ নিন। যারা জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তাদের এমন সমস্যা দেখা যায়।
যদি যৌনাঙ্গের চারপাশে চাপ অনুভূত হয় কিংবা ঘন ঘন মূত্রপায় তাহলে উপেক্ষা করা উচিত নয়। কিংবা প্রস্রাবের সময় ব্যথা বলে চিকিৎসকরে পরামর্শ নিন।
বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মহিলাদারে মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে এই রোগ। কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন, হরমোন থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি ইত্যাদি দ্বারা রোগ নিরাময় করা সম্ভব। অস্বাস্থ্যকর জীবন, ওজন বৃদ্ধি-সব একাধিক কারণে দেখা দিতে পারে এই রোগ।
আরও পড়ুন- জেনে নিন ওজন কমাতে কেন খাবেন জিরের জল, কী উপকার রয়েছে এই পানীয়তে
আরও পড়ুন- স্ত্রীদের এই ৩ কুঅভ্যাসের কারণে নষ্ট হয়ে যায় দাম্পত্য জীবন, আজই ত্যাগ করুন এই আচরণগুলি
আরও পড়ুন- বর্ষায় অন্ত্র এবং পেট সুস্থ রাখতে এই সহজ টিপসগুলি অনুসরণ করুন