সংক্ষিপ্ত
কাজের পর বাড়িতে কিংবা অফিসে চেয়ারে বসেই আরাম নিই। আর এই বিশ্রাম নেওয়ার পদ্ধতিই ডেকে আনছে বিপদ। চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় ঘুমানো আরামদায়ক হতে পারে, তবে এতে শরীরের ক্ষতি হয়। হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা এবং পিঠে ব্যথা হতে পারে।
সকালে উঠে সংসার সামলে অফিস। সেখানে ৯ ঘন্টা হাড় ভাঙা খাটুনি। তারপর রাতে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরা। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে অফিসের সারাটা সময় কমপিউটার থেকে মুখ তোলার সুযোগ হয় না। কাজের ফাঁকে যে এক মিনিট হাঁটবেন তাও হয়ে ওঠে না। তবে, সুযোগ পেলে অনেকে এই টেবিলে বসেই বিশ্রাম নেন। টেবিলের ওপর মাথা রেখে বিশ্রাম নেওয়াটা অনেকের আরামদায়ক মনে হয়। কিন্তু, জানেন কি এতে ভয়ানক পিঠের ব্যথা (Back Pain), আপনার ঘাড় এবং কাঁধে শক্ততা অনুভূত হয়। অনেকেই কাজ করার পর কম্পিউটার টেবিলে বসেই ঘুমিয়েছেন। বিশেষ করে ওয়ার্ক ফ্রেম হোম (Work From Home) চলাকালীন, কাজ শেষে অনেকেই এই কাজ করেন। কিন্তু, জানেন কি এত কত বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন?
১. আমরা প্রায়ই কাজ করার সময় আমাদের ডেস্কে ঘুমিয়ে নিয়ে। স্মৃতি ঘেঁটে স্কুলের দিনগুলোর কথা মনে করুন। আমরা স্কুলের দিনগুলিতে সকলে এই কাজ করেছি। এমনকী, এখনও কাজের পর বাড়িতে কিংবা অফিসে চেয়ারে বসেই আরাম নিই। আর এই বিশ্রাম নেওয়ার পদ্ধতিই ডেকে আনছে বিপদ। চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় ঘুমানো আরামদায়ক হতে পারে, তবে এতে শরীরের ক্ষতি হয়। হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা (Joint Pain) এবং পিঠে ব্যথা (Back Pain) হতে পারে। তাই ঘুমের জন্য বিছানায় শুয়ে থাকা আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং জয়েন্টগুলি প্রসারিত করতে সাহায্য করে। বসে থাকা অবস্থায় ঘুমালে রক্ত সঞ্চালন (Blood Circulation) ব্যঘাত ঘটে। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠে এক মুঠো ছোলা, জানেন শরীরের ঠিক কতটা উপকারে লাগে
২. স্বল্পমেয়াদী সমস্যা ছাড়াও, বসা অবস্থায় ঘুমানোর জন্য শিরা থ্রোম্বোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। ন্যাশনাল ব্লাড ক্লট অ্যালায়েন্স পরামর্শ দেয় যে প্রতিদিন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ রক্ত জমাট (Blood Clotting) বাঁধার পরিণতি থেকে মারা যায়। একজন ২৫ বছর বা এমনকি ৮৫ বছর বয়সেও জমাট বাঁধতে পারে। আর চেয়ারে বসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এর জন্য ফুসফুস বা মস্তিষ্কেও রক্ত জমাট বাঁধে। এর থেকে হতে পারে মৃত্যু। এছাড়া গোড়ালি বা পায়ে ফোলাভাব বা পা ব্যথা, গোড়ালি ফাটার মতো সমস্যা দেখা দেয় বসে ঘুমানোর জন্য। এমনকী, ত্বকের ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলে এই বদঅভ্যেস। তাই সুস্থ থাকতে এই অভ্যেস ত্যাগ করুন।