সংক্ষিপ্ত

নিজের এই ভাবনা চিন্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনুন। প্রয়োজনে মেডিটেশন করতে পারেন। এতে মন শান্ত হয়। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, তাহলে দেখবেন এমন সমস্যা হবে না। তা সত্ত্বেও দুশ্চিন্তা দেখা দিলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন।

হয়তো আগামীকাল আপনার পরীক্ষা কিংবা অফিসের প্রেজেন্টেশন, এই চিন্তায় রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে গেল! আজকাল সামান্য সামান্য বিষয় নিয়েই দুশ্চিন্তা করেন। যা হওয়ার নয়, সেটাও আপনি ভেবে বসে থাকলেন নিজের মধ্যে। কী কারণে এমন পরিবর্তন এসেছে তা বুঝতে না পারলেও, এটা যে আপনার ক্ষতি করছে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন? জানেন কী, অকারণ দুশ্চিন্তা করার স্বভাব এক সময় মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে? জেনে নিন এই স্বভাব থেকে কী কী ক্ষতি হয়। 

আজকাল অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছেন। আর এই ডিপ্রেশন আসে দুশ্চিন্তা থেকে। যদি আপনি অধিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাহলে এর থেকে এক সময় এক সময় বেঁচে থাকার প্রবণতাটাই নষ্ট হয়ে যাবে, যা আপনার ব্যক্তিত্বের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সঙ্গে কমবে আত্মবিশ্বাস। ভরসা হারাতে শুরু করবেন পরিচিত মানুষগুলোর থেকে। সারাক্ষণ খিটখিটে মেজাজ, হতাশা, উৎসাহ হারিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে অল্পতেই রেগে যাওয়া, সহজেই ভুলে যাওয়া কিংবা বিভিন্ন অসামাজিক আচরণ দেখে দেবে আপনার মধ্যে।

ধীরে ধীরে আপনি মানুষকে এড়িয়ে চলবেন। পরিচিত লোকের সামনা-সামনি হতেও অস্বস্তি বোধ করবেন। আসলে দুশ্চিন্তা মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর থেকে চারিপাশের সব কিছুই নেতিবাচক লাগতে শুরু করে। সবার আগে স্বভাবে পরিবর্তন ঘটে। ফলে পরিচিত মানুষ অচেনা লাগতে শুরু করে। দুশ্চিন্তার কুপ্রভাবে ক্রমে মানুষ একাকীত্যে ভুগতে থাকে। যা থেকে একটা সময় দেখা দিতে পারে মানসিক সমস্যা। তাই সমস্যার শুরুতে রাশ না টানলে পরে বিপদে পড়তে হবে।  
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় রয়েছে বিপদ। এটা মানুষকে ধীরে ধীরে অক্ষম করে তোলে। দুশ্চিন্তার জন্য মস্তিষ্কে কুপ্রভাব পড়ে। যা ধীরে ধীরে মানুর দৈনিক কাজের ক্ষমতা হ্রাস পায়। যেকোনও ছোটখাটো কাজ করতে অধিক সময় নেয়। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়ার জন্য সে সহজ কাজও করে উঠতে পারে না। তবে, শুধু মানসিক নয় দুশ্চিন্তার কুপ্রভাব পড়ে শরীরের ওপরও। ঘুম কমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথা ব্যথা এমনকী হার্টের রোগও ধরতে পারে।  

সতর্ক হন: 
এমন সমস্যা ফেলে রাখবেন না। কোন কোন কারণে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তা শনাক্ত করুন। নিজের এই ভাবনা চিন্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনুন। প্রয়োজনে মেডিটেশন করতে পারেন। এতে মন শান্ত হয়। আর যখনই দেখবেন দুশ্চিন্তা হচ্ছে, তখনই অন্যদিকে চিন্তাভাবনা ঘুরিয়ে দিন। প্রয়োজনে গান শুনুন, গল্পের বই পড়ুন। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, তাহলে দেখবেন এমন সমস্যা হবে না। তা সত্ত্বেও দুশ্চিন্তা দেখা দিলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন।