সংক্ষিপ্ত
সাধারণত বিশেষজ্ঞরা এই ক্ষেত্রে চুল ট্রিম করার পরামর্শ দেন, তবে অনেকেই আছেন যারা ট্রিম করার পরেও এই সমস্যায় ভুগছেন। এক্ষেত্রে চুল ছেটেও কোনও কাজ হয়নি। আপনি যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তবে আপনাকে প্রথমে এই সমস্যার কারণগুলি বুঝতে হবে, যাতে এই সমস্যাটি সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়।
দুমুখো চুল বা চুলের ভাঙা ডগা বা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্ত যা দুই বা ততোধিক অংশে বিভক্ত হয় তাকে স্প্লিট এন্ড বলে । মেয়েদের লম্বা চুলে স্প্লিট এন্ডের সমস্যা বেশি দেখা যায়। এর কারণে চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় এবং চুল নষ্ট হয়ে যায়। সাধারণত বিশেষজ্ঞরা এই ক্ষেত্রে চুল ট্রিম করার পরামর্শ দেন, তবে অনেকেই আছেন যারা ট্রিম করার পরেও এই সমস্যায় ভুগছেন। এক্ষেত্রে চুল ছেটেও কোনও কাজ হয়নি। আপনি যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তবে আপনাকে প্রথমে এই সমস্যার কারণগুলি বুঝতে হবে, যাতে এই সমস্যাটি সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়।
শুষ্কতা চুল ফাটার প্রধান কারণ
চুল পড়ার প্রধান কারণ চুলের শুষ্কতা। অনেক সময় বেশি পরিমানে শ্যাম্পু করা, চুলে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার ট্রিটমেন্ট করা, চুলে হিট করার সরঞ্জামের অতিরিক্ত ব্যবহার, অতিরিক্ত ব্রাশিং, দূষণ এবং আবহাওয়ার প্রভাবে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় চুলে শুষ্কতা দেখা দেয় এবং চুলের গোড়া ভেঙ্গে যেতে থাকে। এর সঙ্গে চুল পড়া শুরু হয়, চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। আপনি যদি সত্যিই স্প্লিট এন্ড এড়াতে চান, তাহলে আপনার চুলকে হাইড্রেটেড রাখার চেষ্টা করা উচিত।
স্প্লিট এন্ডস
স্প্লিট এন্ডের সমস্যা এড়াতে সপ্তাহে অন্তত দুবার চুলে তেল লাগান। পাশাপাশি চুলের প্রান্তেও লাগান, তবে চুল একসঙ্গে ঘষবেন না। তবে চাইলে তেল লাগানোর পর চুলে গরম তোয়ালে জড়িয়ে রাখতে পারেন, অনেক উপকার হবে।
হেয়ার মাস্ক
হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন । আপনি চাইলে ভালো ব্র্যান্ডের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন, অথবা ঘরেই মাস্ক তৈরি করে লাগাতে পারেন। মাস্ক তৈরি করতে দই, কলা, মধু, কারি পাতা এবং মুলতানি মাটি ব্যবহার করুন। ভালো করে মেশানোর পর চুলে লাগিয়ে প্রায় আধা থেকে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন- বিশ্বের বিরলতম রক্ত বইছে ভারতের মাত্র একজনের শরীরেই, জেনে নিন সেই ব্যক্তি ও ব্লাডগ্রুপ
আরও পড়ুন- পিরিয়ড হতে দেরি হলে এই ভেষজ পানীয়টি পান করুন, ব্যথা থেকেও মিলবে মুক্তি
আরও পড়ুন- ফল ও সবজির প্রাকৃতিক রঙ দেখে জেনে নিন, এর মধ্যে বিশেষ কী গুণ রয়েছে
শক্ত ব্রাশিং
শক্ত ব্রাশিং এড়াতে চেষ্টা করুন, এ ছাড়া চুলে নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন । এমনকি ভেজা চুল শুকানোর সময়ও তোয়ালে দিয়ে চুলের প্রান্ত ঘষবেন না। এতে চুলের কিউটিকল দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
চুলে হিটিং
চুলে হিটিং এবং স্টাইলিং টুল ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন । এর ফলে আপনার চুল শুধু ফাটলেই নয়, চুলের ঔজ্জ্বল্যও চলে যায় এবং চুল নষ্ট ও ভেঙে যেতে শুরু করে।