সংক্ষিপ্ত
ছোট্ট কিছু ভুলে প্রেগনেন্সিতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। মেনে দেখুন তো সাফল্য পান কিনা ?
মা হতে চাইছেন, অথচ বার বার বাধা আসছে? প্রত্যেক মাসেই হতাশ হতে হচ্ছে আপনাকে? তাহলে এই কয়েকটি বিষয় একটু মাথায় রাখুন। বলা হয় ছোট্ট কিছু ভুলে প্রেগনেন্সিতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। মেনে দেখুন তো সাফল্য পান কিনা ?
মানসিকভাবে আপনি যদি প্রস্তুত হন সন্তান ধারণ করার জন্য, আপনার শরীরও ধীরে ধীরে প্রস্তুত হয়ে যায়। তবে তার জন্য সামান্য নিয়ম পালন জরুরি। তবে শুধু কী করবেন তা জানলেই চলবে না, কী করবেন না, সেটাও জানতে হবে সমানভাবে।
কী কী করবেন না
১. অনেকটা ওজন কমে যাওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়া
খুব বেশি বা খুব কম ওজন আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এর কারণ অনিয়মিত মাসিক চক্র হতে পারে। আপনার যখন প্রতি মাসে পিরিয়ড হয় না, তখন আপনার ডিম্বাশয় থেকে ডিম বের হয় না বা ডিম্বস্ফোটন হয় না। যখন এটি ঘটবে না, আপনি একটি শিশু তৈরি করতে পারবেন না।
২. অত্যধিক ব্যায়াম নয়
আপনি স্বাস্থ্য সচেতন হতে পারেন, কিন্তু প্রেগনেন্সি প্ল্যান করলে অত্যধিক ব্যায়াম করা চলবে না। জোরালো ব্যায়াম হরমোনের পরিবর্তন আনতে পারে যা আপনার ডিম্বাশয়ের জন্য ডিম তৈরি বা মুক্ত করা কঠিন করে তোলে। দৌড়াদৌড়ি, অ্যারোবিক্স, সাঁতার বা বাইক চালানো আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর হলেও গর্ভবতী হওয়ার চান্স কম করে দেয়।
৩. পরিবার পরিকল্পনা করতে বেশি সময় নেবেন না
যদি আপনার বয়স তিরিশের কোটায় হয়, তবে জেনে রাখুন ফার্টিলিটির হার বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমছে। তাই খুব বেশি বয়সে সন্তান পরিকল্পনা না করে সেই সিদ্ধান্ত একটু তাড়াতাড়ি নিয়ে ফেলুন।
৪. মদ্যপান বন্ধ রাখুন
যদি গর্ভবতী হওয়ার চিন্তাভাবনা করেন, তবে হেলদি লাইফস্টাইল জরুরি। সেক্ষেত্রে একেবারেই বর্জনীয় বস্তু হল মদ্যপান। প্রেগনেন্সির সঙ্গে অ্যালকোহলের গভীর শত্রুতা। তা বজায় রাখুন।
৫. ধূমপান
খুব কমন একটা টার্ম। অনেকে অনেকবার এই বিষয়ে জ্ঞন সুনেছেন। তারপর আরেক কান দিয়ে বের করে দিয়েছেন। কিন্তু প্রেগনেন্সির সময়ে এই বিষয়ে আপোষ করবেন না।
৬. ভিটামিন খাওয়ার মাত্রা বাড়ান
ভিটামিন জাতীয় খাবারের মাত্রা বাড়ান। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। দিনে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড নানা ধরণের ভিটামিনের সঙ্গে খেতে পারেন। তবে যে কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।