সংক্ষিপ্ত
অনেক সময় আবার হমজ না হওয়ার দরুন বা বেশি খেয়ে নেওয়ার জন্য এই রোগ হয়। বর্ষাকালের গরম আর প্রচুর আদ্রতার কারণে এই রোগে আক্রন্তের সংখ্যা বাড়ে। পেট ফাঁপলে প্রথমেই পেটে ব্যাথা সঙ্গে অস্বস্তি বোধ হবে।
পেট ফাঁপা- যেকোনও সময় যেকোনও কারণে এই রোগ হতে পারে। তবে গরমকাল বা বর্ষাকালে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। অনেক সময় কষ্ঠকাঠিন্যের জন্য এই পেট ফাঁপে। অনেক সময় আবার হমজ না হওয়ার দরুন বা বেশি খেয়ে নেওয়ার জন্য এই রোগ হয়। বর্ষাকালের গরম আর প্রচুর আদ্রতার কারণে এই রোগে আক্রন্তের সংখ্যা বাড়ে। পেট ফাঁপলে প্রথমেই পেটে ব্যাথা সঙ্গে অস্বস্তি বোধ হবে। তাছাড়াও হাঁটা চলা এমনকি বসারও সমস্যা দেখা দেয়। বারবার শৌচাগারে গিয়েও স্বস্তি মেলে না। বমিও করে অনেকে।
পেট ফাঁপা সমস্যা সমাধানের জন্য রইল ঘরোয়া প্রতীকার-
আপনি যদি বসে কাজ করেন , তাহলে প্রতি ঘণ্টায় একবার উঠে ৫ মিনিটের জন্য পায়চারি করুন। এটি করলে সমস্যা সমাধান হবে।
নিয়মিত জিরা, ধনে আর মৌরি ভেজান জল খান। তাহলে সমস্যা কমবে। তিনটি মশলাই পেটের জন্য উপকারী। স্বাস্থ্যকরও। এতে স্বস্তি পাবেন।
নিম পাতা বা ফুল খানে উপকার পাবেন। পেট ফাঁসা বা গ্যাসের সমস্যা সমাধানের জন্য উপকারী। নিয়মিত নিমপাতা ফুটিয়ে বা ভিজিয়ে খেতে পারেন। নিমের দাঁতন ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।
আদা খেলে উপকার পাবেন। আদাতে পেটের সমস্যা সমাধান করে। হালকা গরম জলে আদা টুকরো করে ভিজিয়ে রেখেদিন। তারপর সেই জল ঠান্ডা হবে তা পান করুন। চাইলে লবণ মেশাতে পারেন।
তবে নিয়মিত প্রচুর জল খেলে পেট ফাঁসার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গরমকাল আর বর্ষাকালে ঠান্ডা জল খেতে হবে। তবে ভুলেও ফ্রিজের জল খাবেন না। কুঁজো বা জালার জল পান করতে পারেন। তাতে যেমন স্বস্তি পাওয়া যাবে তেমনই হজম শক্তি বাড়বে। জল পান কম হলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠান্ড জল হমজ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে শীতকালে এই সমস্যা হলে হালকা গরম জলে সামান্য নুন মিশিয়ে খেতে পারেন। আর পেট ফাঁপার সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তির জন্য লেবু খেতে পারে। একটি পাতিলেবুর রস যদি খান তাহলে দ্রুত উপকার পাবেন।