সংক্ষিপ্ত

আপনি বিভিন্ন উপায়ে আমের খোসা খেতে পারেন। অনেকে আমের পান্না দিয়ে খোসা ব্যবহার করেন, আবার অনেকে চাটনি তৈরিতেও আমের খোসা ব্যবহার করেন। আসলে, আমের খোসা খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।

আম খাওয়ার সময় মানুষ এর খোসা ফেলে দেয়। কিন্তু জানেন কি আমের  পাশাপাশি এর খোসাও খাওয়া যায়? আর শুধু খাওয়াই যায় না, এটি খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে? হ্যাঁ, আমের খোসায় রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি, কে, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো উপাদান, যা আপনাকে অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে। আপনি বিভিন্ন উপায়ে আমের খোসা খেতে পারেন। অনেকে আমের পান্না দিয়ে খোসা ব্যবহার করেন, আবার অনেকে চাটনি তৈরিতেও আমের খোসা ব্যবহার করেন। আসলে, আমের খোসা খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। এর পাশাপাশি এটি হার্টের সমস্যা, ওজন কমানো এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। আসুন জেনে নেই আমের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে।

আমের খোসার উপকারিতা
১. ওজন কমাতে সহায়ক
আমের খোসা খেয়ে আপনি সহজেই আপনার বাড়তি ওজন কমাতে পারেন। আসলে আমের খোসায় ভিটামিন সি এবং ফাইবার পাওয়া যায়, যা খাবার হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। এছাড়া এটি পেটের সমস্যায়ও উপশম দেয়। আপনি যে কোনও সময় এটি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

২. পাচনতন্ত্র নিরাময় করে
অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া জীবন থেকে বাদ না করলে অনেক সময় আপনার পরিপাকতন্ত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দুর্বল হজম ব্যবস্থার কারণে খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না এবং আপনার বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের মতো অনেক সমস্যা হতে পারে, কিন্তু আমের খোসা খেলে আপনি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পান, যা অন্ত্রকেও সুস্থ রাখে।

৩. হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
বর্তমান সময়ের দৌড়ঝাঁপ জীবনে মানুষকে অনেক ধরনের হার্টের সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। তবে তা দূর করতে আমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। আসলে আমের খোসায় পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, যা হার্টের সমস্যা কমাতে খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে।

৪. ত্বক সংক্রান্ত সমস্যায়
পরিষ্কার ও সুন্দর ত্বক সবাই চায়। এর জন্য আমরা অনেক ধরনের পণ্যও ব্যবহার করি কিন্তু তা থেকে বিশেষ কোনো লাভ হয় না। আমের খোসায় উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ আপনাকে আরও সুন্দর করে তোলে। এটি আপনার ত্বক থেকে ব্রণ দূর করতে পারে।

৫. মনকে সতেজ করুন
গ্রীষ্মকালে, আপনি তাপ এবং শক্তিশালী সূর্যালোকের কারণে মাথাব্যথা এবং স্ট্রেসড থাকতে পারেন। তবে আমের খোসা থেকে তৈরি রস খাওয়া আপনার মেজাজকে ভালো করতে পারে। এর পাশাপাশি, এটি মেজাজকে সতেজ করতেও সহায়ক বলে প্রমাণিত হতে পারে।

মনে রাখবেন পাকা আমের বদলে কাঁচা আমের খোসা খান। আম পাকানোর জন্য বাজারে অনেক কার্বোহাইড্রেট এবং অন্যান্য অনেক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তাই পাকা আমের খোসা সরাসরি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না।