সংক্ষিপ্ত
- যানজটে আটকে পড়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা
- ব্যস্ত রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় বিধায়ক
- তাঁর তৎপরতায় দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়
- জনপ্রতিনিধির ভূমিকায় খুশি সাধারণ মানুষ
সমস্যায় পড়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা! খবর পেয়ে আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি তিনি। রাস্তায় নেমে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা পালন করলেন তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। সবাই ঠিকমতো পৌঁছেছে তো? নিজে স্কুলে গিয়ে খোঁজও নিলেন। বৃহস্পতিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল হাওড়ার উলুবেড়িয়া।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি, বিতর্ক তুঙ্গে
ঘড়িতে তখন সকাল দশটা। উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়া এলাকায় নিজের বাড়িতেই ছিলেন বিধায়ক ইদ্রিস আলি। এক মহিলা ফোনে তাঁকে জানান, স্থানীয় ওটি রোডে তীব্র যানজটে আটকে পড়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে পারছে না তারা। খবর পাওয়ামাত্রই বিধায়ক ফোন করেন ট্রাফিক বিভাগের ওসি-কে। তিনি নিজেও আর বাড়িতে বসে থাকেননি। গাড়ি নিয়ে সটান হাজির হন উলুবেড়িয়া ব্যস্ততম রাস্তা ওটি রোডে। তারপর? কখনও ভক্তার মোড়, তো কখনও বাজারপাড়া, কখনও আবার গঙ্গারামপুর, প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কাজে নেমে পড়েন উলুবেড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলিও! ফলও মেলে হাতেনাতেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। বিধায়ককে দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে যায় এলাকায়। তাঁকে ধন্যবাদ জানান মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের মাঝে মাইক বাজিয়ে মেলার উদ্বোধন, বিতর্কে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
এদিকে ওটি রোডে যান চলাচল স্বাভাবিক হতেই স্থানীয় কৌজুড়ি হাইস্কুলে চলে যান ইদ্রিস আলি। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ নেন, পরীক্ষার্থীরা সকলেই স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে কিনা। কথা বলেন অভিভাবকদের সঙ্গেও। জনপ্রতিনিধির ভূমিকায় আপ্লুত সকলেই।