সংক্ষিপ্ত

সাধারণত প্রকৃতিকে রক্ষার জন্যই বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়

করোনা পরিস্থিতি এবং আমফান ঝড়ের এবার বদলে গেল দিনটির রঙ

হাওড়া জেলায়  বৃক্ষরোপণ ও পাখিদের জন্য বাসা বেঁধে দেওয়ার মতো কাজ হল

\আবার ঝড় বিধ্বস্ত মানুষদের হাতে খাদ্য সামগ্রীও তুলে দেওয়া হল

 

সন্দীপ মজুমদার, হাওড়াঃ করোনা পরিস্থিতি এবং আমফান ঝড়ের দাপটে বদলে গেল বিশ্ব পরিবেশ দিবসের রঙ। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার জন্যই সারা বিশ্ব জুড়ে এই বিশেষ দিনটি পালিত হয়। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়ে অতিমারি করোনার প্রাদুর্ভাব এবং সাম্প্রতিক সিভিয়ার সাইক্লোন আমফান প্রকৃতির পাশাপাশি মানব জীবনকেও ওলটপালট করে দিয়েছে। করোনা যেমন মানব জীবনে প্রাণঘাতী নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে তেমনি ঝড়ে ঘর-বাড়ি খুইয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অগণিত মানুষ। হাজার হাজার গাছ ভেঙে পড়ে নীড়-হারা হয়েছে বনের লক্ষ লক্ষ পাখি-ও। তাই শুক্রবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে হাওড়া জেলায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি কোথাও পাখিদের জন্য বাসা বেঁধে দেওয়া, কোথাও আবার ঝড় বিধ্বস্ত অসহায় মানুষদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে দেখা গেল।

উলুবেড়িয়া থানার কুলগাছিয়া মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতির পক্ষ থেকে উলুবেড়িয়া ও বাগনানের বিভিন্ন এলাকার গাছে গাছে পাখিদের বাসা বাঁধার জন্য ৫০ টি মাটির হাঁড়ি বেঁধে দেওয়া হয়। এছাড়াও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় রুদ্রপলাশ গাছের চারা রোপন করা হয়।

বাগনানে আনন্দ নিকেতনের উদ্যোগে ও বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশনের সহযোগিতায় এবং 'মনুষ্যত্ব ও কর্তব্যের ব্যবস্থাপনা'য় এলাকার ঝড় বিধ্বস্ত আড়াই হাজার অসহায় মানুষের হাতে বিভিন্ন রকম খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন বেলুড় মঠের সহ-সম্পাদক শ্রীমৎ স্বামী বাসবানন্দজি মহারাজ-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

আনন্দ নিকেতনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত সরকার জানান এই বিশেষ দিনটিতে পরিবেশ রক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণ খুবই প্রয়োজনীয় কিন্তু অতিমারি করোনা এবং আমফান ঝড়ের জোড়া ফলায় এলাকার মানুষ বিপন্নতার শিকার হয়েছেন। তাই তাঁরা মানুষকে এই বিপন্ন পরিবেশের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে বেছে নিয়েছেন। আসন্ন অরণ্য সপ্তাহে তাঁদের বৃক্ষরোপনের কর্মসূচি রয়েছে।

উলুবেড়িয়ার খোলামন সংস্থার উদ্যোগে ফুলেশ্বরে বকুল, শিমুল, নিম, জাম, কৃষ্ণচূড়া প্রভৃতি গাছের চারা রোপণ করা হয়। সংস্থার পক্ষে বিশিষ্ট শিক্ষক স্বপন চেটেল জানান আমফানে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বনাঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য তাঁরা সারা বছর যাবৎ বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি বিভিন্ন গাছের বীজ রোপণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
 
বাগনান সেভ লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এদিন এলাকায় দূষণ সৃষ্টিকারী উদ্ভিদ পার্থেনিয়াম নিধন কর্মসূচি পালন করা হয়।