মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী মহারাষ্ট্রভান্ডারা জেলা জেনারেল হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডআগুনে পুড়ে খাক ১০ নবজাতকএক্স গ্রাসিয়া ঘোষণা করে তদন্তের নিরর্দেশ দিলেন উদ্ধব

মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলা জেনারেল হাসপাতাল। শনিবার ভোর ২টো নাগাদ আগুন লাগে হাসপাতালের সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে (এসএনসিইউ)। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ নবজাতকের। হাসপাতালের এক ডাক্তার জানিয়েছেন মৃত শিশুদের বয়স ছিল এক থেকে তিন মাসের মধ্যে।

জানা গিয়েছে কর্তব্যরত এক নার্সই প্রথম ওই ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। তিনিই খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তাঁরা খবর দেন দমকলে। ছুটে আসে বেশ কয়েকটি দমকলের ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা উদ্ধার কাজ শুরু করলেও ওই ১০টি শিশুকে বাঁচানো যায়নি। জানা গিয়েছে ওই ইউনিটে ১৭ জন শিশু ভর্তি ছিল। দমকল কর্মীরা তার মধ্যে ৭ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

Scroll to load tweet…

তবে হাসপাতালের চারতলা ভবনটিতে কীভাবে আগুন লাগল, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ফলেই আগুন লেগেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নবজাতক শিশুদের যে ওয়ার্ডে রাখা হয় সেখানে অবিচ্ছিন্নভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করা প্রয়োজন। তাই হাসপাতালের কর্মীরা আগুন নেভানোর যন্ত্র ব্যবহার করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। উল্টে ধোঁয়ার দাপটে তাঁরা কয়েকজনও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

নিহত শিশুদের হতভাগ্য বাবা-মা'কে খবর দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা ওই সাত নবজাতককে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া আইসিইউ ওয়ার্ড, ডায়ালাইসিস উইং এবং লেবার ওয়ার্ডের রোগীদেরও অন্য নিরাপদ ওয়ার্ডে সরিযে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে এই ঘটনায় গত শিসুদের পরিবারদের সমবেদনা জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার এক্স গ্রাসিয়া ঘোষণা করেছেন। তিনি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও আদেশ দিয়েছেন। বিরোধী দলগুলিও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।