সংক্ষিপ্ত
পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যসচেতনার প্রতিটি মানদন্ড মেনে যাতে দেশের সব রাজ্যে খাবার তৈরি হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে। যাতে দেশের অন্যান্য ফুড স্ট্রিটগুলির কাছে এটি একটি উদাহরণ হিসেবে উঠে দাঁড়াতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের সহযোগিতায় দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে গড়ে উঠতে চলেছে ফুড স্ট্রিট। এই বিষয়ে প্রত্যেকটি রাজ্যকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আবেদন করতে চলেছে কেন্দ্র। দেশ জুড়ে মোট ১০০টি ফুড স্ট্রিট গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। দেশ জুড়ে ১০০টি জেলায় এই ফুড স্ট্রিট তৈরি করা হবে।
পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যসচেতনার প্রতিটি মানদন্ড মেনে যাতে দেশের সব রাজ্যে খাবার তৈরি হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে। যাতে দেশের অন্যান্য ফুড স্ট্রিটগুলির কাছে এটি একটি উদাহরণ হিসেবে উঠে দাঁড়াতে পারে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে তথাকথিত বাইরের খাবারের গুণগত মান ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা সহজ হবে। খাদ্যজনিত অসুস্থতাকেও আয়ত্বে রাখা সম্ভব হবে।
রাজ্যগুলির কাছে লেখা একটি চিঠিতে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এবং আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব মনোজ জোশী উল্লেখ করেছেন যে "নাগরিকদের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের সহজ অ্যাক্সেস অত্যাবশ্যক। নিরাপদ খাদ্য অভ্যাস শুধুমাত্র "সঠিক খাওয়ার প্রচার" এবং খাদ্য নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করে না, স্থানীয় খাদ্য ব্যবসার স্বাস্থ্যবিধির বিশ্বাসযোগ্যতাও উন্নত করবে। এছাড়াও এটি স্থানীয় কর্মসংস্থান, পর্যটন এবং ফলস্বরূপ, অর্থনীতিকে বাড়িয়ে তুলবে। এটি একটি পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ পরিবেশের দিকে পরিচালিত করবে।"
রাস্তার খাবার বহু যুগ ধরেই ভারতীয় সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সারা দেশেই ছড়িয়ে রয়েছেরয়েছে। তারা রন্ধনপ্রণালীর সমৃদ্ধ স্থানীয় ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। রাস্তার খাবারগুলি লক্ষ লক্ষ লোকের সাশ্রয়ী মূল্যে দৈনিক খাদ্য সরবরাহ করে না বরং বিপুল সংখ্যক লোকের সরাসরি কর্মসংস্থানও দেয় এবং পর্যটন শিল্পকেও সহায়তা করে। রাস্তার খাবারের আউটলেট এবং হাবগুলিতে খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি উদ্বেগের বিষয়। দ্রুত নগরায়নের সাথে, যখন এই হাবগুলি খাবারের সহজলভ্যতা বাড়িয়ে তুলছে, ঠিক তখনই অস্বাস্থ্যকর এবং অনিরাপদ খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে এর মাধ্যমে বলে অভিযোগ উঠছে।
এই উদ্যোগটি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (NHM) মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। প্রযুক্তিগত সহায়তায় থাকবে আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক ও FSSAI। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উদ্যোগের জন্য আর্থিক সাহায্য প্রতি ফুড স্ট্রিট বা জেলা প্রতি এক কোটি টাকা দেওয়া হবে। সারা দেশে ১০০টি জেলায় এরকম ১০০টি ফুড স্ট্রিট খোলা হবে। ন্যাশনাল হেলথ মিশন (NHM)-এর অধীনে ৬০:৪০ বা ৯০:১০ অনুপাতে এই সহায়তা দেওয়া হবে এই শর্তে যে FSSAI নির্দেশিকা অনুযায়ী এই ফুড স্ট্রিটগুলির স্ট্যান্ডার্ড ব্র্যান্ডিং করা হবে। কোনও রাজ্যে সর্বাধিক ৪টি ফুড স্ট্রিট তৈরি করা হবে। বাংলার ভাগেও চারটি ফুড স্ট্রিট তৈরির করার শিঁকে ছিঁড়েছে। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, অসম, ছত্তিশগড়ের মত রাজ্যগুলিতেও চারটি করে ফুড স্ট্রিট তৈরি হতে চলেছে।