সংক্ষিপ্ত
- ফাঁকা বাড়িতে একা ছিল এগার বছর বয়সী খুদে
- বুদ্ধির জেরে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে সে
- বাড়িতে আসা চোরকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে
- মায়ের পছন্দের গয়নাও চুরি যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে
ফাঁকা বাড়িতে একা ছিল এগার বছর বয়সী খুদে। কিন্তু বুদ্ধির জেরে সে যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে,তাতেই তাকে কুর্নিশ জানিয়েছে সকলে। কী এমন সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে সেই খুদে। বাড়িতে আসা চোরকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে সে এবং শুধু তাই নয়, মায়ের পছন্দের গয়নাও চুরি যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে সে।
জানা গিয়েছে, মুম্বই-এর ভিরার-এ নিজের বাড়িতে একাই ছিল ক্লাস ফাইভের ছাত্র এগারো বছরের তানিশ মহধিক। । দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ আচমকাই বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক চোর। ঘটনার সময়ে তার বাবা প্রকাশ কাজে গিয়েছিলেন এবং মা দিব্যা তার বোনকে স্কুলে দিয়ে আসতে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে আবদুল খান নামে বাহান্ন বছর বয়সী এক ব্যক্তি তার বাড়ির কলিং বেলটি বাজায়। তানিশ দরজা খুলতেই , ওই ব্যক্তি নিজেকে ইলেকট্রিকের লোক বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু বাড়িতে কেউ নেই বলে তাকে পরে আসতে বলায় ওই ব্যক্তি আচমকাই তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ে।
ব্যবসার জন্য ঋণ দেয়নি ব্যাঙ্ক, কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিলেন গম-চাষি
তানিশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা আলমারি থেকে গয়না বের করে নিজের প্যান্টের পকেটে ঢোকাতে শুরু করে সেই চোর। পরে জানা যায় প্রায় এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকার গয়না নিয়ে নিয়েছিল সে। আকস্মিক এই ঘটনায় খানিকটা হতবাক হয়ে যায় ছোট্ট তানিশ। তার হাত ধরে টানা- হ্যাঁচরা করতে শুরু করে ছোট্ট তানিশ।
পরিস্থিতি বুঝে পালিয়ে যাওয়াই শ্রেয় মনে করে ওই চোর ফ্ল্যাটের সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে শুরু করে। সেইসময়েই বাড়ি ফিরছিলেন দিব্যা ছেলের চিৎকার শুনে প্রতিবেশী জড়ো করে নিয়ে আসেন তিনি। প্রতিবেশীর সঙ্গে একজোট হয়ে চোর হাতে-নাতে ধরা পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ, এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। তবে ছোট্ট ছেলের উপস্থিত বুদ্ধির ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন পুলিশ কর্মীরা।