সংক্ষিপ্ত

একটি ১২ বছরের ছেলের মৃত্যুর ঘটনা ভয় বাড়াচ্ছে। কেরলের কোঝিকোডের একটি হাসপাতালে নিপা ভাইরাস সংক্রমণের মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিল ওই কিশোর।

নিপা ভাইরাসে (Nipah virus infection) মৃত্যু কেরলে (Kerala)। একটি ১২ বছরের ছেলের (12 year old boy) মৃত্যুর ঘটনা ভয় বাড়াচ্ছে। কেরলের কোঝিকোডের একটি হাসপাতালে নিপা ভাইরাস সংক্রমণের মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিল ওই কিশোর। রবিবার ভোরে মারা যায় সে। 

কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানান, ১২ বছরের একটি ছেলে নিপা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে মারা গেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবিবার কোঝিকোডে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেন, এখন পর্যন্ত, ওই কিশোরের পরিবার বা অন্য পরিচিতিদের কারোরই কোনও উপসর্গ নেই। তাঁর সঙ্গে কোঝিকোডে যাচ্ছেন কেরলের আরেক মন্ত্রী পিএ মোহাম্মদ রিয়াস। 

এদিকে, কেরালার কোঝিকোড জেলায় নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করেছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা এনসিডিসি-এর একটি দলকে কেরলে পাঠিয়েছে বলে খবর। মৃত কিশোরের রক্তের নমুনা পুনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্টে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে কেরলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিধি জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য কোনও পরিবার, গ্রামে এই রকম কেস রয়েছে কীনা তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এরই সঙ্গে মালাপ্পুরমে একই রকম ভৌগোলিক পরিবেশযুক্ত এলাকাগুলির ওপর নজর রাখা হয়েছে।  

পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য দফতরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন নিপা সংক্রমণের তথ্যের পর শনিবার গভীর রাতে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে। যদিও রাজ্য সরকার এখনও সরকারিভাবে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়ে ঘোষণা করেনি। তবু বিশেষ সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবিবার সকালে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে কোঝিকোডে যেতে পারেন। 

নিজের পার্সে কত টাকা রাখেন মুকেশ অম্বানি, জানলে চোখ কপালে উঠবে

Bank Holidays in September : সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন দিনে বন্ধ ব্যাঙ্ক, দেখে নিন তালিকা

কেন্দ্র জানাচ্ছে নিপা ভাইরাস নিয়ে সবসময়ই সতর্ক থাকা উচিত। এটি একটি জুনোটিক ভাইরাস, অর্থাৎ প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। তবে দূষিত খাবারের মাধ্যমে বা সরাসরি মানুষ থেকে মানুষেও এই ভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে। এর ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা করোনা ভাইরাসের থেকে কম হলেও, এটি অনেক বেশি প্রাণঘাতী, মৃত্যুর হার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা, মারাত্মক এনসেফালাইটিস, ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে এই ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে।