সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার টানা তৃতীয় দিনে ভারী বৃষ্টির কারণে পুরো উত্তরাখণ্ড কার্যত থমকে গেছে। ধসে আটকে পড়েছেন ১৪ জন বাঙালি পর্যটক।
পুজোয় উত্তরাখণ্ডে(Uttarakhand) বেড়াতে গিয়ে বিপত্তি। ধসে আটকে পড়েছেন ১৪ জন বাঙালি পর্যটক(14 Bengali tourists)। এতে উদ্বিগ্ন তাদের আত্মীয় পরিজন। তারা চাইছেন সরকার থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হোক যাতে ঘরের লোক ঘরে ফেরেন। গত সপ্তমীর দিনে হাওড়ার কোনা থেকে ১৪ জনের একটি দল উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কোনার পাশাপাশি হাওড়ার আমতা ও কলকাতার বাসিন্দাও ছিলেন। ওই পর্যটকদের নৈনীতাল,আলমোরা রানীক্ষেত হয়ে কাঠগুদাম থেকে ফেরার ট্রেন ধরার কথা ছিল।
সেইমতো সোমবার যখন তারা গাড়ি করে রানীক্ষেত থেকে কাঠগোদামের দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময় কাচছি ধাম এলাকায় পাহাড়ি ধসের কবলে পড়েন বলে জানিয়েছেন আটকে পড়া যাত্রীরা। ধসের পাশাপাশি প্রবল ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিতে গাড়িতে আটকে পড়েন ওই পর্যটকরা। শেষমেষ উপায় না দেখে তারা গ্রামবাসীদের সহায়তায় তাদের বাড়িতে গ্রামে রাত কাটান। তাদের বুধবার সকালে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও কাঠগুদাম স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে না পারার কারণে তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
হাওড়ার কোনায় বাড়ির লোকের কাছে এই খবর পৌঁছালে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফোনে ভালোভাবে কথা বলাও যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পর্যটকদের বাড়ির লোকজন। এখন বাড়ির লোকজন উদ্বিগ্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তারা চাইছেন রাজ্য সরকার কিছু ব্যবস্থা নিক যাতে ঘরের লোক ঘরে ফিরে আসেন।
এদিকে, টানা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখন্ড । মঙ্গলবার টানা তৃতীয় দিনে ভারী বৃষ্টির কারণে পুরো উত্তরাখণ্ড কার্যত থমকে গেছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গা পুরোপুরি জলের তলায়। দেরাদুন থেকে নৈনিতাল জলবন্দী। আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৭জন পর্যটকের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
উত্তরাখণ্ডে একটানা ভারী বৃষ্টির মধ্যে হলদওয়ানীর গৌলা নদীর (Gaula River) উপর একটি সেতু আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া, চম্পাওয়াতের(Champawat) একটি নদীর উপর একটি নির্মাণাধীন সেতুও ভেসে গেছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে চারধাম যাত্রা। ১৭ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছিল আবহাওয়া দফতরের তরফে। সেই সতর্কতা মেনেই যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে, উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং দামির সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তরাখণ্ডে অবিরাম বৃষ্টির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে, মুখ্যমন্ত্রী ধামি স্টেট ডিজাস্টার কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করেন এবং রাস্তা ও জাতীয় সড়কের তথ্য নেন।