বুধবার সংসদে রামমন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা করা হয়েছে।কিন্তু কেমন হবে সেই ট্রাস্টের চেহারা?কজন সদস্য থাকবেন?বিশদে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

বুধবার সংসদে রামমন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরই সেই 'শ্রী রাম জন্মভূমী তীর্থ ক্ষেত্র' ট্রাস্টের চেহারাটা কেমন হতে চলেছে, সংবাদসংস্থা এএআই-কে তা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন ট্রাস্টে মোট ১৫ জন সদস্য থাকবেন। তাঁদের মধ্যে একজন অবশ্যই দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি থাকবেন। অমিত শাহ আরও জানান, মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি সিদ্ধান্ত ট্রাস্ট স্বতন্ত্রভাবে নিতে পারবে। তাদের হাতেই অযোধ্যার ৬৭ একর জমি তুলে দেওয়া হবে।

এদিন অমিত শাহ 'এমন এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের জন্য' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দনও জানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে রামমন্দির নির্মাণ হলে ভারতের সামাজিক সম্প্রীতি আরও জোরদার হবে। তিনি বলেন, কয়েক শতাব্দী ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষ এর জন্য অপেক্ষা করে আছেন। শিগগিরই তাদের সেই অপেক্ষার অবসান হবে এবং রাম জন্মস্থানে তাঁর ভক্তরা মন্দিরে ভগবান শ্রী রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। ভগবান রাম-কে তিনি ভারতীয়দের 'বিশ্বাসের প্রতীক এবং অবিচ্ছিন্ন শ্রদ্ধার প্রতীক' হিসেবে বর্ণনা করেন।

Scroll to load tweet…

পরে একটি টুইট করে অমিত শাহ বলেন, 'আজকের দিনটি পুরো দেশের জন্য অপরিসীম আনন্দ ও গর্বের দিন। রামজন্মভূমি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকার ভগবান রামের নামে একটি ট্রাস্ট গঠনের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে অযোধ্যায় মহামন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করল।

Scroll to load tweet…

এদিন রামমন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ সরকার অযোধ্যা মামলা বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় নির্দেশ অনুসারে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা জানিয়েছেন, জেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে লখনউ হাইওয়ের উপর অযোধ্যার ধানিপুর গ্রামে ওই ৫ একর জমিটি চিহ্নিত করা হয়েছে।