করোনা লকডাউন, সবই হল তুচ্ছযোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে গরুই তো সবতাই গরু মরতেই তার সৎকারকে কেন্দ্র করে উপচে পড়ল ভিড়তবে দেরিতে হলেও নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন 

কীসেরই বা করোনা, কীসেরই বা লকডাউন। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে গরুর কাছে সবই তুচ্ছ। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের মেমদি গ্রামে সেই গরুর সৎকারকে কেন্দ্র করে করোনাভাইরাস মহামারির ভয় তথা লকডাউন বিধি অমান্য করে উপচে পড়ল ভিড়। গরুকে কবর দেওয়ার জন্য আয়োজিত হল বিশাল শোভাযাত্রা। তবে দেরিতে হলেও নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার পর রবিবার ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রায় দেড়শ জনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা অমান্য করা, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন কাজ করা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধি ও মহামারি আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওর ভিত্তিতেই মামলাটি করা হয়েছে। ১৫০ জনের মধ্যে ২৫ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বাকিরা পরিচয় এখনও অজ্ঞাত। প্রায় ১০০ জনই মহিলা।

Scroll to load tweet…

গরুটিকে কোনও গোশালার বা ব্যক্তির পোষা নয়। গত কয়েকদিন ধরেই সে অসুস্থ ছিল। দীনেশচন্দ্র শর্মা নামে স্থানীয় একজনের দোকানের সামনে বৃহস্পতিবার তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন সিদ্ধান্ত নেয় গরু 'পবিত্র প্রাণী', তাই তারা লকডাউনের মধ্যেই 'সসম্মানে' গরুটির শেষকৃত্য করবেন।

দীনেশচন্দ্র শর্মার দাবি, তাঁর দোকানের সামনে গরুটি মরে পড়েছিল বলে তিনিই গরুটিকে কবর দিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, লোক জড়ো হওয়ার পিছনে তাঁর কোনও হাত নেই। তাঁর এই বিষয়ে কোনও জেনারেল স্টোরের মালিক শর্মা তিনি বলেছেন, 'কিছু লোক যদি নিজের ইচ্ছায় গরুর শেষকৃত্যে অংশ নেয়, তবে আমি কীভাবে তাদের থামাতে পারি?'স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গরুটি বহু বছর ধরে গ্রামে ছিল, তাই তাকে যথাযথভাবে কবর দেওয়া তাদের দায়িত্ব।

তবে পুলিশের দাবি, ভিডিওটে দেখা গিয়েছে, গরুর অন্তেষ্টিতে যোগ দেওয়া স্তানীয়দের কেউই সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানেননি। এমনকী তাদের মুখে মাস্কও ছিল না।