১৯৮৪ সালে নিজের দেহরক্ষীদের গুলিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর দেশের বিভিন্ন শহরে শিখ-বিরোধী দাঙ্গা হয়েছিল। কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে শিখদের হত্যার অভিযোগ ওঠে।
১৯৮৪ সালে দিল্লিতে শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় অন্যতম অভিযুক্ত সজ্জন কুমার শেষপর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হলেন। বুধবার দিল্লির আদালত এই প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করল। ১৮ ফেব্রুয়ারি সজ্জনের সাজা ঘোষণা করতে পারে আদালত। এই কংগ্রেস নেতা এখন তিহার জেলে বন্দি। তিনি চার দশক আগে যে অপরাধ করেছিলেন, তা প্রমাণ হলেও, ভারতীয় বিচার বিভাগের দীর্ঘসূত্রিতাও ফের প্রকট হয়ে গেল। এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে চার দশক পেরিয়ে গেল। ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লির সরস্বতী বিহার অঞ্চলে সজ্জনের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাঁর নেতৃত্বেই একদল জনতা হিংসা ছড়ায়। সজ্জনের উস্কানিতেই জনতা দুই শিখ ব্যক্তি যশবন্ত সিং ও তাঁর ছেলে তরুণদীপ সিংকে খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে। এই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হলেন সজ্জন।
ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর শিখ-বিরোধী দাঙ্গা
১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দিল্লিতে নিজের দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। শিখ ধর্মাবলম্বী দেহরক্ষীরা তাঁকে গুলি করেন। এই ঘটনার জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলা শুরু করেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। দিল্লিতে বহু শিখ ধর্মাবলম্বীর বাস। সেখানে শিখদের উপর অত্যাচার চরমে পৌঁছয়। সজ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাঁর উস্কানিতে জনতা যশবন্ত ও তরুণদীপকে খুন করার পর তাঁদের বাড়িতে লুটপাট চালায়। এরপর সেই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সজ্জন অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু আদালত জানিয়েছে, এই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা শুধু শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় সরাসরি যুক্তই ছিলেন না, তিনি জনতাকে হিংসায় উস্কানি দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই কারণেই সজ্জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হল।
চার দশক পর বিচার
১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গা নিয়ে গত চার দশকে অনেক রাজনৈতিক চাপানউতোর হয়েছে। কিন্তু এতদিন মূল অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তেই ছিলেন। এবার কংগ্রেসের একজন বড়মাপের নেতা সাজা পেতে চলেছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
অনলাইনে ফাঁস লাল সিং চাড্ডার গল্প, ১৯৮৪-এর 'শিখ দাঙ্গা' গল্পের মূল বিষয়?
ভোটের মুখে পঞ্জাবে শিখ দাঙ্গার কথা মনে করাল বিজেপি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরির টুইটে শোরগোল
পাগরি মাথায় সেজেছিলেন শিখ, 'জরুরী অবস্থার ২১ মাসেই প্রচারক থেকে নেতা হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী
