সংক্ষিপ্ত

জিকার প্রকোপ দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। বায়ুসেনা আধিকারিকদের সঙ্গে এক সাধারণ নাগরিকও ভাইরাসের প্রকোপের শিকার হয়েছেন বলে খবর। 

আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস(Zika virus)। এবার জিকা ভাইরাসের প্রকোপের শিকার ভারতীয় বায়ুসেনার দুই আধিকারিক (two Indian Air Force personnel)। শনিবার জিকার প্রকোপ দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে (Kanpur)। বায়ুসেনা আধিকারিকদের সঙ্গে এক সাধারণ নাগরিকও(civilian) ভাইরাসের প্রকোপের শিকার হয়েছেন বলে খবর। 

জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কানপুরের চিফ মেডিকেল অফিসার নেপাল সিং জানান, মোট চারজন সংক্রামিত হয়েছেন বলে খবর। যার মধ্যে দু'জন আইএএফ কর্মী এবং একজন সাধারণ নাগরিক। কানপুরে ২৩শে অক্টোবর প্রথম জিকা ভাইরাসের কেস রিপোর্ট হয়। সেদিন একটি আইএএফ ওয়ারেন্ট অফিসার জিকা ভাইরাসে পজেটিভ রিপোর্ট পান। 

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত একজন আইএএফ কর্মীদের চিহ্নিত করার পরেই, স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ রাখে। পরে আরও ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন, পরীক্ষার জন্য এবং সমস্ত নমুনা জিকার জন্য নেতিবাচক পরীক্ষা করা হয়েছিল। সিএমও জানান, যে গর্ভবতী মহিলা সহ ৪৬৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পরপর দুই দিন ধরে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রতিটি নমুনা পরীক্ষার জন্য কেজিএমইউ লখনউ ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৩টি নমুনায় জিকা ভাইরাস পজিটিভ এসেছে বলেও জানান তিনি।

যারা পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েছেন, তাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৪১ বছরের মধ্যে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন উপসর্গবিহীন রয়েছেন। জিকা ভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়া আইএএফ কর্মীদের এয়ার ফোর্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোগের বিস্তার পরীক্ষা করতে এবং জিকা ভাইরাসের উত্স ট্র্যাক করার জন্য, স্বাস্থ্য দলগুলিকে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অ্যান্টি-লার্ভা স্প্রে করা, জ্বর হওয়া রোগীদের সনাক্তকরণ, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের স্ক্রিনিং সহ স্যানিটাইজেশন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য জোর দেওয়া হয়।

Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে

এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান

বাংলার উন্নয়ন নিয়ে মোদীর সঙ্গে কথা অধীর চৌধুরির, নতুন স্থল বন্দর তৈরির প্রস্তাব

জুলাই অগাষ্ট মাস থেকে প্রকোপ শুরু হয় জিকার। প্রথমে কেরল, পরে ধীরে ধীরে গোটা দেশে ছড়ায় জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ। জিকা সাধারণত মশা বাহিত রোগ। মশার কামড় থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এর বাহক এডিস মশা। সাধারণত দিনের বেলা এই মশা কামড়ায়। চিকুনগুনিয়া রোগের মতো একই উপসর্গ দেখা যায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে। 

সাধারণত জিকা ভাইরাসের ক্ষেত্রে ভয়াবহ শারীরিক কোনও ক্ষতি হয় না। তবে যদি কোনও গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তাহলে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। সঙ্গম ও রক্তের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। জিকা ভাইরাসের উপসর্গগুলি হল জ্বর, গায়ে ব্যথা, চোখে ব্যথা, ত্বকে ব়্যাশ বের হওয়া। সাধারণত মশা কামড়ানোর ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে এই উপসর্গগুলি দেখা যায়। এক সপ্তাহ এই সমস্যাগুলি থাকে।