সংক্ষিপ্ত
কিছু দিন আগেই সরেজমিনে অধীর চৌধুরী এলাকা পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। তারপরেই এদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তা তুলে দেন।
রাজনৈতিক বৈরতা দূরে সরিয়ে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের (Indo-Bangladesh Border) মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এগিয়ে এলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি (congress State President) অধীর চৌধুরী (Adhir Choudhuri)। মুর্শিদাবাদের বাংলাদেশ ঘেঁষা কাকমারি এলাকায় আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর তৈরীর দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগের পথ সুগম করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে রীতিমতো তথ্যসহ ভিডিও ফুটেজ তুলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার এই খবর চাউর হতেই জেলার সব মহলে খুশির আমেজ শুরু হয়েছে।
কিছু দিন আগেই সরেজমিনে অধীর চৌধুরী এলাকা পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। তারপরেই এদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তা তুলে দেন। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়, ওই আন্তর্জাতিক বন্দর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অধীর চৌধুরীর ভার্চুয়ালি দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। এমনকি ওই এলাকায় গিয়ে তিনি যে ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন সেটিও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। আর এর ফলেই মুর্শিদাবাদের পিছিয়ে পড়া এলাকার সীমান্তের মানুষের মুখে নতুন করে হাসি ফুটেছে। আশার আলো দেখছেন মুর্শিদাবাদের সীমান্ত লাগোয়া বাসিন্দারা।
রাজ্যের পিছিয়ে পড়া জেলা মুর্শিদাবাদ। আর মুর্শিদাবাদের পিছিয়ে পড়া এলাকা কাকমারি।এখানকার বড় অংশের মানুষ নির্ভর করে কৃষির ওপরে। আর এলাকায় কাজ না পেয়ে হাজার হাজার মানুষ কাজের খোঁজে পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্যে। ফলে আন্তর্জাতিক বন্দর তৈরি হলে একদিকে যেমন বাড়বে কর্মসংস্থান, তেমনই বাড়বে বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও।
এ ব্যাপারে এদিন অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক সচিব জয়ন্ত দাস জানান ‘‘এই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের কোনও জায়গা নেই, ফলে এই বন্দর তৈরি হলে দু'দেশের মানুষের যাতায়াত ছাড়াও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান বাড়বে। পিছিয়ে পড়া এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নও ঘটবে বন্দরের হাত ধরে।’’
Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে
এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান
পিরিয়ডসের সময় এই নিয়মগুলো মানেন তো, জেনে রাখা উচিত পুরুষদেরও
জলঙ্গির কাকমারি সীমান্তে পদ্মা নদীর মাঝ দিয়ে ভাগ হয়েছে সীমান্ত। নদীর এ পারে কাকমারি গ্রাম, ও পারে চারঘাট। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে প্রায়ই মিলে মিশে যান ভারত-বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা। ফলে এলাকার মানুষের দাবি, দুপারে উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে ফলে একটি আন্তর্জাতিক বন্দর তৈরি করা হোক। এলাকার মানুষের এই দাবির কথা জানতে পেরেই কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ছুটে আসেন ওই এলাকায়। গোটা এলাকা দেখে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দর তৈরির জন্য আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
আরোও জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি দেখা করে অধীর চৌধুরী একপ্রস্থ আলোচনাও করেছেন। ফলে এলাকার মানুষ আশাবাদী ওই স্থলবন্দরকে ঘিরে। যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে গেলে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বড় একটা ভূমিকা আছে"।
এলাকার বর্ডার ডেভলপমেন্ট কমিটির সম্পাদক জুলফিকার আলী বলছেন, ‘‘স্থলবন্দর তৈরি হলে যেমন অর্থনৈতিক ভাবেও উন্নয়ন ঘটবে এলাকার, তেমন ভাবে সামাজিক জীবনে একটা বিপ্লব আসবে দুই বাংলায়। কেবল কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র"।