সংক্ষিপ্ত

আবারও বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনা
দুর্ঘটনায় নিহত ৪ অভিবাসী শ্রমিক
একটি দুর্ঘটনা ঘটে হরিয়ানায় 
অন্যদুর্ঘটনা উত্তর প্রদেশে

পৃথক দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল ৪ অভিবাসী শ্রমিকের। লকডাউনের ৪০ দিন পরে ওঁরা সকলেই বাড়ি ফিরতে মরিয়া ছিলেন। হাজার হাজার মাইল পথ তাঁরা পায়ে হেটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না ওঁদের। রাস্তায় ঘাতক গাড়ি ধাক্কায় মৃত্যু হল ওঁদের। 

ছয় অভিবাসী শ্রমিকের একটি দল মহারাষ্ট্র থেকে উত্তর প্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। একটি অটোতে করেই তিন দিনে ১৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের ফতেপুরে ট্রেকের ধাক্কায় থামতে হয় ছয় অভিবাসী শ্রমিকের দলটিকে। ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় অটোতে সওয়ার মা ও মেয়ের। বাকিদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। 

পায়ে হেঁটেই হরিয়ানা থেকে বিহারে যাচ্ছিলেন দুই অভিবাসী শ্রমিক। হরিয়ানার আম্বালা ক্যান্টনমেন্টে তীব্র গতিতে আসা একটি এসইউভি গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক জনের। গুরুতর জখম অবস্থায় অন্যজনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে দুই অভিবাসী শ্রমিক বিহারের বাসিন্দা। লকডাউনে কাজ হারিয়ে তাঁরা বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। বিলাসবহুল গাড়িটি তীব্র গতিতে আসছিল।  নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে বলেও জানান হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। 

অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে উত্তর প্রদেশের রায়বরেলিতে। শিব কুমার দাস নামে বছর ২৫ -এর এক অভিবাসী শ্রমিক নিজের শেষ সম্বলটুকু খরচ করে সাইকেল কিনেছিল বাড়ি ফেরার জন্য। কিন্তু শেষ ইচ্ছে পুরণ হল না তাঁর। বুলেন্দশহর থেকে একটি অভিবাসী শ্রমিকের দলের সঙ্গেই যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিবকুমারের। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গাড়ি চালকও জখম হয়েছেন। গাড়িতে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় ভারতের কাজ প্রশংসা পেয়েছে বিদেশে, বৈঠকে বিরতির আগে মোদীর মন্তব্য ...

আরও পড়ুনঃ 'কেন্দ্র রাজনীতি বন্ধ করুক, রাজ্যগুলি সাধ্যমত কাজ করছে', মোদীকে নিশানা করে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

আরও পড়ুনঃ ট্রেন ছাড়ার ৯০ মিনিট আগে আসতে হবে, প্যারেঞ্জার ট্রেনের যাত্রীদের জন্য আরও একগুচ্ছ নিয়ম ...

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত ২৫ মার্চ থেকেই স্তব্ধ গোটা দেশ। এই অবস্থায় কয়েক লক্ষ অভিবাসী শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। জমা পুঁজি শেষের পথে। শ্রমিক স্পেশাল চললেও সেই ট্রেনে চড়ার প্রক্রিয়া অনেক জটিল বলেই অভিযোগ অভিবাসী শ্রমিকদের। এই পরিস্থিতিতে পাঁয়ে হেঁটে অথবা সাইকেলে চড়েই গ্রামে ফিরতে মরিয়া ওঁরা। ঔরঙ্গাবাদে ট্রেন দুর্ঘটনায় একসঙ্গে ১৬ জন অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তারপর মধ্যপ্রদেশে ট্রাক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫ জনের। এর আগেও উত্তর প্রদেশেই দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামে ফিরতে চেয়েছিলেন এক দম্পতি। কিন্তু রাস্তায় একটি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় দম্পতির। তারপর থেকেই অনাথ হয়েছে তাঁদের দুই শিশু সন্তান।